বরগুনার তালতলীতে প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ে হওয়ার পরে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে স্বামী বাচ্চু মিয়া (২৮)। পরে স্ত্রীর দেওয়া ধর্ষণ মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার বাচ্চু মিয়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
১৩ অক্টোবর ভোর রাতে স্বামী বাচ্চুর নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছাতনপাড়া গ্রামের শানু হাওলাদারের কন্যা খাদিজার সঙ্গে এক বছর আগে তার খালাতো ভাই বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ক্রোক এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায় তারা গোপনে স্থানীয় ঈমামের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে খালাতো ভাই স্বামী বাচ্চু প্রায়ই খাদিজার কাছে এসে থাকতেন। এতে খাদিজা হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শানু হাওলাদার পারিবারিকভাবে তার কন্যার বিয়ে মেনে নিলেও স্বামী বাচ্চু মিয়ার বাবা-মা মেনে তো নেয়নি উল্টো বিয়ে অস্বীকার করেন স্বামী বাচ্চু।
স্ত্রী খাদিজা ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কোনো উপায় না পেয়ে গত মাসে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৯/১ ধারায় স্বামী বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি তালতলী থানাকে আসামি গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী নারী। আদালতের আদেশে মামলাটি এজাহারভুক্ত করে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি।