”প্রযুক্তি, গ্রাহক আস্থা ও সেবার উৎকর্ষে টেকসই ভিত্তি গড়ছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স”
জেনিথ ইসলামী লাইফের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শনিবার (১৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলস ‘র বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫ কক্সবাজারের হোটেল সী প্যালেস লিমিটেডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকদের হাতে বীমা দাবি পরিশোধের চেক হস্তান্তর করা হয় এবং কেক কেটে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।
বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলী, কোম্পানির বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান মো. ছায়েদুর রহমান এবং এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মানসুদ আলম।
সম্মেলনের শুরুতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য র্যালি, যেখানে কর্মকর্তারা কোম্পানির ব্র্যান্ডিং ও গ্রাহকসেবার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন। কোম্পানির ব্যবসা সফল কর্মকর্তা ও উন্নয়ন কর্মীদের বেস্ট পারফর্মার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় সম্মেলনে।
প্রধান অতিথি সাঈদ আহমেদ বলেন, আমার জানা মতে জেনিথ ইসলামী লাইফের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বীমা দাবির কোন অভিযোগ নেই। এসোসিয়েশনের দায়িত্বে নেয়ার পর আজ অবধি আমি শুনিনি যে, জেনিথ ইসলামী লাইফ কোন ক্লেইম পরিশোধ করেনি।
তিনি বলেন, আমি খুবই আশাবাদী জেনিথ ইসলামী লাইফ একদিন অনেক বড় কোম্পানি হবে। এই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে যারা রয়েছেন তারা খুবই আন্তরিক। কোম্পানি যিনি ভাইস চেয়ারম্যান তিনি আপনাদের (বীমা কর্মীদের) সম্পর্কে জানেন এবং কে কি টার্গেট নিয়ে কাজ করছেন সেটাও তিনি জানেন।
বিএম ইউসুফ আলী বলেন, বীমা কোম্পানি মানুষের কল্যাণ কামনা করে। মানুষের বিপদের সময় পাশে দাঁড়ায়। অসুস্থতায় যেমন চিকিৎসা সুবিধা দেয় তেমনি আর্থিকভাবে শক্তিশালী হওয়ারও সুযোগ তৈরি করে দেয় বীমা।
তিনি আরো বলেন, জেনিথ অর্থ শীর্ষ। তাই এই কোম্পানিকে অবশ্যই এক নম্বর কোম্পানিতে উন্নীত হতে হবে। তিনি বলেন, আমি আশা করি ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেনিথ ইসলামী লাইফ খুব শিগগিরই শীর্ষ কোম্পানি হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এস এম নুরুজ্জামান বলেন, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি একটি সম্পূর্ণ অনলাইন-ভিত্তিক আধুনিক লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রযুক্তি, গ্রাহক আস্থা ও সেবার উৎকর্ষের মাধ্যমে টেকসই ভিত্তি গড়ে তুলছে।
গ্রাহকদের জন্য চালু করা ডিজিটাল সেবাগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করছি। গ্রাহকরা এখন ঘরে বসেই হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল ও ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে দাবি আবেদন করতে পারছেন।
মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে কোম্পানির প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম বেড়েছে ৭১.৮১%, নবায়ন প্রিমিয়াম বেড়েছে ১১.৫০%, এবং গ্রুপ প্রিমিয়াম বেড়েছে ২৪%। এছাড়া ২০২৫ সালের দাবি নিষ্পত্তির হার দাঁড়িয়েছে ৯৭.২৩%, যা আমাদের গ্রাহকসেবার প্রতি অঙ্গীকারের প্রমাণ।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে জেনিথ ইসলামী লাইফের সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে করপোরেট চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের ১২৬টির বেশি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ৪০% পর্যন্ত ছাড় সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৮শ’র বেশি উন্নয়ন কর্মকর্তা, ডিভিশনাল হেড ও কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
এন এস


