ক্ষোভে ফুসছে ইরাকের জনগণ। কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রবিবারও রাজধানী বাগদাদের রাজপথে বিক্ষোভে নামেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। আহত হন অনেকে।
এমন অস্থিরতার মধ্যেই দেশটিতে আকস্মিক সফরে গেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর পেন্স জানান, চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে বাগদাদ।
আন্দোলন দমাতে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ছুঁড়লে এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ক্ষোভে শহরের দোকানপাট ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে বাগদাদের রাজপথ পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বিনা উস্কানিতে তাদের উপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
তারা বলছে, কোন কারণ ছাড়াই গুলি চালাচ্ছে সরকারী বাহিনী। তবে, আমাদের কাছে কোন অস্ত্র নেই। অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি আমরা।
আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। চাকরি নেই, উপার্জনেরও কোন পথ খুঁজে পাচ্ছি না। জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। এভাবে একটা দেশ কিভাবে চলবে।
এমন সংকটের মধ্যেই ইরাকের আনবার প্রদেশের আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে আকস্মিক সফরে যান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এছাড়া, ইরাকের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দেল মাহদি। সঙ্গে ফোনালাপের পর মাইক পেন্স জানান, সংকট কাটিয়ে উঠতে দ্রুত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইরাক সরকার।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, ইরাকে সম্প্রতি সহিংস পরিস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, সহিংসতা কাটিয়ে উঠতে তার সরকার শান্তিপূর্ণ উপায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা ও তাদের দাবির বিষয়ে ইরাক সরকার সব সময় সচেতন রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহদি।
ইরাকে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৩০ জন।