স্বাস্থ্য বীমায় রোল মডেল হবে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

বীমা নিয়ে অসচেতন মানুষের নানা নেতিবাচক কথা আছে। কিন্তু সংসারের উপার্জনক্ষম মানুষটি মারা গেলে পরিবারের সদস্যরা আর্থিক দুর্গতির মধ্যে পড়েন। আবার সারা জীবন উপার্জন করলেও নানা প্রতিকূলতার কারণে অনেক মানুষ জীবনের পড়ন্ত বেলায় আর্থিক সঙ্কটে পতিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে বীমা অনিশ্চিত জীবনে বন্ধুর মতো পাশে দাঁড়ায়। সঞ্চয়ের মাধ্যমে সুরক্ষা দিয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রোটেক্টিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কিশোর বিশ্বাস।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বীমাকারীর সংখ্যা সন্তোষজনক নয়। দেশের ক্ষুদ্র সংখ্যক জনগোষ্ঠি বীমা সুবিধার আওতায় রয়েছেন। শহরের পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষও বীমা নিয়ে অসচেতন। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বেশীহারে বীমার আওতায় নিয়ে আসতে পারলেই সুফল মিলবে। তবে আশার কথা হচ্ছে, জাতীয় বীমা দিবস চালু দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। এ দাবিটি পূরণ হয়েছে। বীমা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে বীমা খাতের প্রতি সরকারের তরফ থেকে একটি স্বীকৃতি মিলেছে। উত্তরোত্তর এর সুফল বাড়বে। বাড়বে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ, সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি, এগিয়ে যাবে দেশের বীমা খাত।

ডা. কিশোক বিশ্বাস চিকিৎসা পেশা থেকে এসেছেন বীমা খাতে। প্রোটেক্টিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় অর্থনীতি বিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থবাংলাডটকমের সিনিয়র রির্পোটার আদম মালেক এর তাঁর কথা হয় দেশের বীমা খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে। স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে এই তরুণ বীমা ব্যক্তিত্বের আগ্রহ প্রবল। বললেন, স্বাস্থ্য বীমা চালু হয়েছে। দেশের প্রেক্ষাপটে আরো বেশি স্বাস্থ্য বীমার অগ্রগতি দরকার। এক্ষেত্রে বীমা কোম্পানীসহ রাষ্ট্রকেও আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতিটি জনগনের উচিত স্বাস্থ্য বীমার আওতায় নিজেকে জড়িয়ে রাখা। হঠাৎ বিপদে পড়লে হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসা- বীমা হতে পারে সবচেয়ে বড় বন্ধু। প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী স্বাস্থ্য বীমা সেবাকে কি করে কোটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌছানো যায়, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। কোন একদিন সারাদেশে স্বাস্থ্য বীমায় রোল মডেল হবে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমন আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বীমা খাতের আকার দিনদিন বড় হচ্ছে। নতুন কোম্পানী আসছে, বাড়ছে প্রতিযোগীতা। এর মধ্যে কিছু কোম্পানীর কারণে দুর্নামও হচ্ছে। তদন্ত করলে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য বেরিয়ে আসবে। অনিয়মের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই, বীমা খাত আরো পরিচ্ছন্ন হবে।

বীমা কোম্পানীর সঙ্গে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ(আইডিআরএ) এর সাথে বীমা কোম্পানীর সম্পর্ক মূল্যায়ন করতে গিয়ে এই বীমা ব্যক্তিত্ব বলেন, আইডিআরএ আমাদের অভিভাবক। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুসুলভ। প্রতিষ্ঠানটির নির্দেশনা মেনে বীমা কার্যক্রম পরিচালন করা হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে। তবে আমরা বীমা বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞ বীমা ব্যাক্তিত্ব ড. মোশারফ হোসেনকে অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি, যার জন্য বীমা সেক্টরকে মানুষ সম্মানের চোখে দেখে। আইডিআরএতে জনবলের যথেষ্ট কমতি থাকার পরও বর্তমান কর্তৃপক্ষ একজন সুযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং যার সুফল ইতোমধ্যে পেতে শুরু করছি।

বীমায় নতুন পলিসি হওয়ার চেয়ে পলিসি রক্ষা করা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ড. কিশোর। পলিসি তামাদি বড় সমস্যা। বীমায় তামাদি পলিসি রোধ করতে চায় প্রোক্টিভ ইসলামী লাইফ।
তামাদি পলিসি সম্পর্কে তিনি বলেন, দু পক্ষের কারণেই বীমা পলিসি তামাদি হয়। কোম্পানিগুলো পলিসিহোল্ডার নতুন পলিসি আনেন এজেন্টদের মাধ্যমে। এজেন্টদের প্রথম বছরের প্রিমিয়াম আয় বেশি থাকে। পলিসি করিয়ে এক কোম্পানির এজেন্ট অন্য কোম্পানিতে চলে যায়। তখন তাঁরা নতুন কোম্পানিতে গিয়ে আবার প্রথম বছরের প্রিমিয়াম আয় করতে চান। এভাবে পলিসির ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়। অন্যদিকে একশ্রেণির পলিসিহোল্ডারের অসচেতনতাও এ জন্য দায়ী। তবে গোটা খাতের জন্য এটা খারাপ। মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে। তামাদি হওয়ার কুফল বা ক্ষতির বিষয়টি গ্রাহকদের সামনে বেশী করে নিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া সময়োপোযোগী বীমা পণ্য নিশ্চিত করতে হবে।

বীমাখাতের উন্নয়নে দক্ষ জনশক্তির উপর জোর দিয়েছেন এই তরুণ বীমা ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেন, দেশে বীমার জন্য দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। এজন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
সফলতার জন্য তিনি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে, লক্ষ্য স্থির করা, সম্মোহনী ব্যক্তিত্বও চর্চা প্রয়োজন। সংশয় ভয়-ভীতি ও আলস্য দূরীকরণেও তিনি জোর দিয়েছেন। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিসহ অন্যের আস্থা অর্জন করতে হবে। অন্যকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সবশেষ আবারো কথা হলো, চতুর্থ প্রজন্মের বীমা প্রতিষ্ঠান প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স নিয়ে। জানালেন স্বপ্নের গল্প মালা। বললেন, গ্রুপ বীমায় আমাদের অবস্থান বেশ ভালো। স্বাস্থ্য বীমা নিয়েও বিশেষ জোর দিচ্ছি। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’র দক্ষতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক চেষ্টা, লাখো গ্রাহকের ভালোবাসায় সফলতার র্শীষে স্থান দখল করবে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, এমনটাই প্রত্যাশা করেন ড. কিশোর বিশ্বাস।