লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) তামার দাম কিছুটা কমেছে। ধাতুটির শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশ চীনে করোনা মহামারীর ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ চাহিদাকে নিম্নমুখী চাপের মধ্যে ফেলেছে। এ কারণেই দাম কমতির দিকে। অন্যদিকে শীর্ষ তামা উত্তোলক দেশ পেরুতে ধাতুটির মজুদ বাড়তে থাকায় সরবরাহ সংকটের উদ্বেগও কিছুটা কমেছে, যা বাজারকে স্থিতিশীল করে তুলতে সহায়তা করছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
এলএমইতে গতকাল তিন মাসের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে তামার দাম দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ১০ হাজার ১৮৭ ডলারে। অন্যদিকে সাংহাই ফিচারস এক্সচেঞ্জে মে মাসে সরবরাহ চুক্তিতে তামার দাম অপরিবর্তিত ছিল। প্রতি টন তামা বিক্রি হয়েছে ৭৪ হাজার ৪৮০ ইউয়ান বা ১১ হাজার ৫৪৮ ডলারে।
পণ্যবাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এএনজেড জানায়, চীনে করোনা মহামারী ও সরবরাহ জটিলতার কারণে তামার চাহিদা কমেছে। এটি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলেছে। তবে চীনের ইলেকট্রিসিটি গ্রিড ও পরিশোধন এবং প্রক্রিয়াকরণ খাতে ধাতুটির চাহিদা এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জের মজুদাগারগুলোয় অন্যান্য ধাতুটির মজুদ কমছে। কিন্তু ব্যতিক্রম তামা। এলএমইর অনুমোদিত গুদামগুলোয় মজুদ গত বছরের অক্টোবরের পর সর্বাধিক বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৭৫ টনে।