মুচলেকা নিয়েও ঠেকানো গেল না বাল্য বিবাহ

 

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়েও ঠেকানো গেল না অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসনের লোকজন বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে পণ্ড করে দেয়। তবুও সন্ধ্যায় দুই পরিবারের সম্মতিতে কনেকে নিয়ে বাড়ি যায় বর।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মো. পারভেজ ইলিয়াসের মেয়ে ও স্থানীয় বড়মাছুয়া ইউনাইটেড হাই ইনস্টিটিউট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান মিমের (১৩) সঙ্গে পশ্চিম রাজপাড়া গ্রামের মো. আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন লিমনের (৩০) বিয়ের আয়োজন করা হয়। দুপুরে অর্ধশতাধিক মেহমান গাড়ি বহর নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। এ সময় বর পক্ষসহ কনের বাড়িতে তিন শতাধিক লোক খাওয়া-দাওয়া শুরু করেন। বাল্য বিয়ের বিষয়টি পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানতে পারেন।

পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা মহিলা-বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এই বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদারের উপস্থিতিতে কনের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বর-কনে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করবো না মর্মে বর দেলোয়ার হোসেন লিমন মুচলেকা দেয়। তবুও সন্ধ্যায় কনেকে নিয়ে বাড়ি যায় বর লিমন।

স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের লোকজন কনের বাড়ি থেকে চলে আসার পর সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে বর কনেকে নিয়ে তার বাড়িতে চলে যায়।

এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. বশির আহম্মেদ বলেন, ‘মুচলেকা দেওয়ার পরও বর ওই কিশোরীকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’