শহীদুল ইসলাম, তারাগঞ্জ, রংপুর
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় ১২দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করা স্কুল ছাত্রী তার নিজ বাড়িতে ফিরেছে।
প্রেমিক আলামিনের বাবা এবং অনশনকারী স্কুলছাত্রীর বাবা তাদের ছেলে মেয়েকে নিয়ে তারাগঞ্জ থানায় আসেন। দুই অভিভাবক তারাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদকে সাথে আলোচনা করেন। আলোচনায় মেয়ের বাবা বলেন, আমার মেয়ে ছোট তার এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। সে কেবল অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে, তাকে আমি উচ্চশিক্ষিত করব চাকরি করাবো, তারপর বিয়ে দেবো। মেয়ের বাবার এ কথায় স্বা-আনন্দে সহমত পোষণ করেন প্রেমিক আলামিনের বাবা। প্রেমিক আলামিনের বাবা বলেন, তারা দু’জনেই ছোট বয়স কম, এদের কারোরই বিয়ের বয়স হয়নি।
তারা দুজনেই আগে লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে কাজ করুক, তারপর আমরা দুই পরিবার মিলে ধুমধাম করে বিয়ে দেবো। অভিভাবকদের কথা বুঝতে পেরে উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়ে বাবার সাথে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এসময় প্রেমিক আল আমিন ও উচ্চশিক্ষিত হয়ে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর কথা ব্যক্ত করে- সবার সম্মতিতে বিয়ের কথা বলেন।
ভালোবাসার কারণে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী, একই উপজেলার বরাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র প্রেমিক আলামিনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়।
সেখানে ১২দিন অনশনের পর অবশেষেতার বাবার সাথে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।
তাগস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ বলেন, ছেলে-মেয়ে উভয়পক্ষের অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে থানায় এসেছিল। আমিও উভয় পক্ষের অভিভাবকের সাথে কথা বলেছি। তারা উভয়েই সম্মতি দিয়ে নিজ নিজ সন্তানদের কে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।