আদালতে ক্ষোভ ঝাড়লেন বলিউড বাদশা শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। আরিয়ানের প্রশ্ন, মুম্বাইয়ের প্রমোদতরীর পার্টিতে অনেক লোক থাকলেও বেছে বেছে তাদের মতো কিছু লোককে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে?
পরোক্ষ প্রশ্নে আরিয়ান জানায়, ‘পার্টিতে ছিল ১৩০০ লোক। কিন্তু গ্রেফতার করা হল শুধু ১৭ জনকে।’ একই সঙ্গে আদালতে তার দাবি, প্রমোদতরীতে ওঠার সময় তার ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে মাদক মেলেনি।
যদিও মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) দাবি, মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান। গ্রেফতারি পরোয়ানায় হাতে লিখে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করেছিলেন আরিয়ান। আরিয়ানের সেই হাতে লেখা বয়ানও প্রমাণ হিসেবে আদালতে দাখিল করেছেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার আরিয়ানকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। এরপরই শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে তার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। শুক্রবার জামিনের শুনানির সময় নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন শাহরুখপুত্র।
আরিয়ান জানিয়েছেন, প্রতীক নামে তার এক বন্ধু এই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে তার আলাপ করিয়েছিলেন।
সেই ব্যক্তি আরিয়ানকে প্রমোদতরীর পার্টিতে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আরিয়ানকে জানানো হয়েছিল, তার নাম থাকবে ‘ভিভিআইপি’ তালিকায়। শাহরুখ খানের পুত্র এলে পার্টির জাঁকজমক বেড়ে যাবে। মূলত এই কারণেই নাকি ডেকে আনা হয়েছিল আরিয়ানকে।
আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডের দাবি, তার মক্কেল এবং প্রতীকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখলেই সত্যি বেরিয়ে আসবে। আরিয়ানের সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের সঙ্গেও পরিচয় রয়েছে প্রতীকের।
আরিয়ান বলেছেন, ওই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আরবাজের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু ওর ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।
অন্যদিকে, এনসিবির তদন্ত বলছে, আরিয়ান এবং আরবাজ মাদক সংগ্রহ করতেন একই ব্যক্তির কাছ থেকে। তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে নাকি উঠে এসেছে এমনই তথ্য। সূত্র: আনন্দবাজার ও ইন্ডিয়া টাইমস।