গার্মেন্ট মালিক উধাও, রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে শ্রমিকরা

রাজধানীর মিরপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ৩ দিন ধরে রাত জেগে প্রতিষ্ঠানটি পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া গার্মেন্ট থেকে মালামাল যাতে সরিয়ে না নেওয়া হয় সেজন্যই পাহারা বসায় শ্রমিকরা। বাসায় গিয়েও মালিকের দেখা পাননি শ্রমিকরা। এসব করেও গার্মেন্ট মালিকের দেখা মিলছে না।

১ সপ্তাহ ধরে মিরপুর ৭ নম্বরের কটন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। মার্চ মাসের বেতন, ওভার টাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সাড়ে ৩শ শ্রমিক গার্মেন্টের ভেতর অবস্থান নেন। মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা কয়েক দফা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এরপর রাতে গার্মেন্টের সামনে পালাক্রমে পাহারা বসান শ্রমিকরা।

সরেজমিনে শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই কয়েকশ শ্রমিক মিরপুর ৭ নম্বরের কটন গার্মেন্টের সামনে জড়ো হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, মালিক পক্ষ যাতে সেলাই মেশিন ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালাতে না পারে সে জন্যই এই পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মালিক পক্ষ সাড়ে ৩শ শ্রমিকের বকেয়া বেতন না দিয়ে কিছু দিন ধরে গা ঢাকা দিয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, ২ দিন কয়েকশ শ্রমিক মিছিল নিয়ে মিরপুর থেকে উত্তরায় বিজিএমইএ অফিস পর্যন্ত হেঁটে গেছেন। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্বস্ত করেছে ২৫ তারিখে সমস্যার সমাধান হবে।

গার্মেন্ট অপারেটর মালেকা বলেন, ৩ দিন রাত জেগে পাহার দিয়েও মালিকের দেখা পাইনি। মিরপুর ১২ নম্বরে তাকে তার বাসায় গিয়েও পাইনি। অনেক গরম পড়েছে। তারপরও হেঁটে বিজিএমইএ অফিস পর্যন্ত গিয়েছি। তারা বলেছেন, ব্যবস্থা করে দেবেন।

বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, শ্রমিকরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিল। আমরা শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে ঈদের আগেই সমাধান করব।