ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে এবার রাস্তায় নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার লাশের উপর দিয়ে এ আইন প্রয়োগ করতে হবে সরকারকে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে জোড়াসাঁকো মঞ্চে এ কথা বলেন তিনি।
পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় দুপুর ১টায় মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি মিছিল রেড রোডের অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে জোড়াসাঁকো পৌঁছায়। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িকে সাক্ষী রেখে তিনি বলেন, ‘একসময় যখন বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল, হিন্দু মুসলিমের হাতে রাখি পরিয়ে ‘বাংলার মাটি-বাংলার জল’ গান গেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আর আজ বিজেপি ক্ষমতায় এসে নিজেদের আকাশের চেয়েও বড় ভাবছে।’
তিনি বলেন, হিন্দুস্তান যদি কেবল হিন্দুদের হয় তাহলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিকাশ সম্ভব নয়।
সহিংসতা বন্ধে তিনি সবাইকে অনুরোধ করে বলেন, ‘কেউ দয়া করে ট্রেনে আগুন জ্বালাবেন না। অধিকাংশ ট্রেন ভারত সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। বারবার বলছি, ট্রেনে আগুন দেবেন না। পোস্ট অফিসে আগুন দেবেন না। রাস্তায় আগুন দেবেন না।’
মমতা এই আইন প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়ে বলেন ,‘ যতক্ষণ না সিএবি প্রত্যাহার করা হবে, ততক্ষণ আমরা রাস্তায় থাকব।’
মিছিল সম্পর্কে তিনি বলেন, এই মিছিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের হলেও তারা সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। কেননা দেশ বিপদে পড়লে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে কাজ করতে হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন আনতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করেন সম্প্রতি। ভারতীয় পার্লামেন্টের লোকসভা ও রাজ্যসভার অনুমোদনের পর স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নাগরিকত্ব বিলটিতে সম্মতি প্রদান করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। এরপর থেকেই দেশজুড়ে চরম বিক্ষোভ শুরু হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার