২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো মুনাফা করতে পারলেও এবারও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট কোম্পানি আরামিট।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
লভ্যাংশ না পেলেও শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা আয় করতে পারাটাই এই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পেতে পারেন। এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর লোকসান দিয়েছিল কোম্পানিটি।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৯৭ পয়সা, পরের বছর শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৫৬ পয়সা, ২০১৯ সালে শেয়ারে ৫ টাকা ১৫ পয়সা এবং গত বছর একেকটি শেয়ারের বিপরীতে ৬ টাকা ৮৬ পয়সা লোকসান দেয়ার তথ্য আছে ডিএসইতে কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে।
তবে এবারের আর্থিক প্রতিবেদনে গত বছরের লোকসান দেখানো হয়েছে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৭১ পয়সা।
কোম্পানিটি সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও লোকসান দিয়েছিল শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৩২ পয়সা। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯ পয়সা আয় করতে পারে। এরপর তৃতীয় প্রান্তিকে আয় হয় আরও ৭২ পয়সা।
তিন প্রান্তিক শেষে শেয়ারে ৪৮ পয়সা মুনাফা হওয়ার পর বিনিয়োগকারীরা চতুর্থ প্রান্তিকের আয় যোগ হওয়ায় লভ্যাংশের প্রত্যাশায় ছিলেন।
মুনাফায় ফেরায় লভ্যাংশের আশায় কোম্পানিটির শেয়ার দরে গত এক বছরে উল্লম্ফন হয়েছে। এই সময়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬৪ টাকা পর্যন্ত ওঠে। তবে সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কিছুটা কমে লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দাম দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ১০ পয়সা।
গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে। পরে অবশ্য দাম কমে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ার দর ছিল ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা।
কোম্পানিটি মুনাফায় ফেরার পাশাপাশি সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত বছর জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ২৭ টাকা ৯১ পয়সার। এবার তা হয়েছে ২৯ টাকা ১৩ পয়সা।
কোম্পানিটি লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ২৪ নভেম্বর। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।