প্রাণঘাতী করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স আসায় অনেকেই সেটিকে দেখছিলেন অগ্রগতি হিসেবে। কিন্তু গত ১৬ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে এবার সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে দেশের প্রবাসী আয় রেকর্ড ২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পর রেমিট্যান্স কমতে শুরু হয়। সেপ্টেম্বরে তা নেমে আসে ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে। এর জন্য হুন্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে অর্থ পাঠানোকে দায়ী মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের পুরোটা সময়জুড়েই আগের বছরের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স কমে গেছে। এই ধারাবাহিকতা আগস্টেও দেখা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই ও আগস্ট- এই দুই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩৬৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ৪৫৬ কোটি ২১ লাখ ডলার। তুলনা করলে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ১৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তথ্যমতে, চলতি জুলাইয়ে দেশে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা জুনের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম এবং আগের বছরের (২০২০ সালের জুলাই) একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। গত বছর জুলাইয়ে এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, আগস্টে এসেছে ১৮১ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ কোটি ডলার কম। ২০২০ সালের আগস্টে এসেছিল ১৯৬ কোটি মার্কিন ডলার।