শেরপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে জেলা শহরের নারায়ণপুর বাগবাড়িস্থ ‘দারুস শিফা’ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- সদর উপজেলার গাজীর খামার এলাকার মো. ছোটন (৫০), জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ (৪৮) ও গোলাম কিবরিয়া (৩৬), শেরপুর শহরের বাগরাকসা মহল্লার রফিকুল ইসলাম (৪০), সজবরখিলা মহল্লার সামস উদ্দিন (৬০), আনিসুর রহমান (৫০) ও শফিকুল ইসলাম (৫২), কান্দাপাড়া মহল্লার বুলবুল আহম্মেদ (৫৫), দিঘারপাড় মহল্লার আব্দুল মোনাফ খান (৪৮), ঝিনাইগাতী উপজেলার আব্দুল বারীর ছেলে আব্দুর রউফ (৪০), সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের জঙ্গলদী গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৫৪) সহ আরও ৬ জন।
হাসপাতালের একটি কক্ষে শেরপুর অঞ্চলের জামায়াত নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও কুমিল্লার গুজব ইস্যু নিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ রাজনৈতিক অস্থিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন-এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় সাদা পোশাকের পুলিশ। এ সময় বৈঠকে থাকা ১৭ নেতাকর্মীকে আটক এবং তাদের হেফাজত থেকে ২৩টি মোবাইলসহ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযানে অংশ নেয়া শেরপুর সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বন্দে আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তারা কী উদ্দেশ্যে সেখানে সমবেত হয়েছিলেন- তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ তদন্ত চলছে। সে রকম কিছু পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।