শুধু বাংলাদেশের ছবি নিয়ে এই মাসেই ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুটি উৎসব। ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর আগরতলায় ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ ও ২৩ থেকে ২৮ অক্টোবর গুয়াহাটিতে ‘প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় এই উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের ৩৫টি চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়েছে। এসব ছবি থেকে যাচাই-বাছাই করে আরেকটি সংক্ষিপ্ত তালিকা হবে। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র) সাইফুল ইসলাম।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই উৎসবের জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ৩৫ চলচ্চিত্র হলো ‘হাসিনা আ ডটার’স টেল’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘জালালের গল্প’, ‘অমি ও আইসক্রিমঅলা’, ‘অনিল বাগচীর একদিন’, ‘যদি একদিন’, ‘জিরো ডিগ্রী’, ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’, ‘আয়নাবাজি’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ‘তুখোড়’, ‘ভুবন মাঝি’, ‘সত্বা’, ‘রাজনীতি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘হালদা’, ‘অন্তর জ্বালা’, ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’, ‘গহীন বালুচর’, ‘পুত্র’, ‘পোড়ামন ২’, ‘দেবী’, ‘জান্নাত’, ‘ফাগুন হাওয়ায়’, ‘কালো মেঘের ভেলা’, ‘মনের মত মানুষ পাইলাম না’, ‘আবার বসন্ত’, ‘মায়া: দ্য লাস্ট মাদার’, ‘গণ্ডি’, ‘ন ডরাই’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘গোর’, ‘গেরিলা’, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’।
সাইফুল ইসলাম বলেন, যাচাই-বাছাই কমিটি গত পাঁচ বছরের মুক্তিপ্রাপ্ত এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও বাইরের দেশের বিভিন্ন উৎসবে প্রশংসিত ছবির তালিকা পর্যালোচনা করে ৩৫টি চলচ্চিত্র প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে। তিনি বলেন, এই তালিকা থেকে আবার বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হবে। সেই তালিকার ছবিগুলোই দুটি উৎসবে যাবে।
চলচ্চিত্র যাচাই-বাছাই কমিটির অন্যতম সদস্য পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, সরকারের এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। বাংলাদেশি সিনেমা আগেও ভারতের বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। এতে পরিচালক-প্রযোজকদের মধ্যে ভালোমানের দেশীয় চলচ্চিত্র তৈরির তাগিদ বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভারতের সিনেমাপ্রেমীরা বাংলাদেশের সিনেমা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। আমাদের সিনেমা সম্পর্কেও ধারণা পাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে তাঁদের জানার সুযোগ হচ্ছে।’
সোহানুর রহমান বলেন, এর আগে সরকারি উদ্যোগে এ ধরনের উৎসবে অংশ নেওয়া ছবির কোনো শিল্পী বা কলাকুশলী ভারতে যেতে চাইলে নিজ খরচে যেতে হতো। এবারের উৎসবে অংশ নিতে কিছু শিল্পী, কলাকুশলীর খরচ বহন করতে পারে মন্ত্রণালয়।