‘মারধর ও পরকীয়ার কারণে তালাক’

 

শারীরিক নির্যাতন ও পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মেহেরুবা সালসাবিল। আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

সালসাবিল জানালেন, মারধর করায় বছরখানেক আগে নোবেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তিনি। সালসাবিল বলেন, ‘দিনের পর দিন মারধর ও নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ১১ সেপ্টেম্বর বাধ্য হয়ে নোবেলকে তালাকের নোটিশ পাঠাই। নোবেল মানসিকভাবে অসুস্থ, চরমভাবে মাদকাসক্ত। সে পরনারীর সঙ্গে মেলামেশা করত। এসবের যথেষ্ট প্রমাণও আমার কাছে আছে। শুরুতে ভেবেছিলাম, ঠিক হয়ে যাবে। অনেক চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু হয়নি। এসব কারণে তার সঙ্গে সংসার না করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই। আমার পরিবারের কানে এসব খবর গেলে তারাও নোবেলের প্রতি খুব বিরক্ত হয়।’

সালসাবিল জানালেন, হোয়াটসঅ্যাপে এসএমএস চালাচালির মাধ্যমে তাঁদের পরিচয়। তিন মাস প্রেম করার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন মঈনুল আহসান নোবেল। সালসাবিল বলেন, ‘বিয়ের ৬ মাসের মাথায় জটিলতা তৈরি হয়। মূলত মাদক নেওয়া ও অন্য নারীর সঙ্গে মেলামেশায় বাধা দিতে গেলেই আমাকে মারধর করত ও।

মারধরের বিষয়টি একটা সময় আমার পরিবারও জানতে পারে। এরই মধ্যে গত বছরের একটা সময় ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ করি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নোবেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় গত বছরের জুলাইয়ে সাধারণ ডায়েরি করি। নোবেল আমাকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টাও করে। এরপর ভাবলাম, এভাবে তো জীবন চলতে পারে না। তাই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই তালাকের সিদ্ধান্ত নিই।’

এই বিষয়ে নোবেলের বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর ফেসবুক পাতায় এক শব্দের একটা পোস্ট পাওয়া গেছে। শব্দটা হলো ‘ডিভোর্সড’।
২০১৯ সালে ভারতের জি বাংলা টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’তে অংশ নিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন নোবেল। সংগীতজীবনের শুরু থেকেই নানা রকম বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন এই তরুণ শিল্পী। এই বিতর্ক আর তাঁর পিছু ছাড়েনি।