চাহিদা না থাকায় বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া করোনা ভাইরাসের অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার স্থানীয় সংস্করণের উৎপাদন বন্ধ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আধার পুনাওয়ালা শুক্রবার এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার স্থানীয় সংস্করণ কোভিশিল্ডের কমপক্ষে ১০০ কোটি ডোজ এ পর্যন্ত প্রস্তুত করেছে সেরাম ইনস্টিটিউট। জাতিসংঘের অধীনে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য টিকা প্রদান বিষয়ক কর্মসূচি কোভ্যাক্সেও তারা বড় সরবরাহকারী। এখন টিকা উৎপাদন বন্ধের খবর জানিয়ে দেয়া হলো। এক বছর আগের ঠিক বিপরীত চিত্র এটি। ওই সময় ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি এক ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।
এর ফলে ১৪০ কোটি মানুষের দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হয় সরকারিভাবে। অবশেষে নভেম্বরে এসে আবার টিকা রপ্তানি শুরু হয়।
সেরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আধার পুনাওয়ালা বলেন, আমাদের কাছে ২০ কোটি ডোজ টিকা মজুদ আছে। ডিসেম্বরেই আমরা এর উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছি। যারা এই টিকা চান তাদেরকে বিনামূল্যে ডোনেশন হিসেবে দেয়ারও প্রস্তাব করেছি। টাইমস নেটওয়ার্ক মিডিয়া গ্রুপের আয়োজনে এক অর্থনৈতিক ফোরামে তিনি এ কথা বলেন। আধার পুনাওয়ালা বলেন, আমি জানি না উৎপাদিত এই টিকা দিয়ে এখন কি করবো। তাই কর্মকর্তাদের বলেছি উৎপাদন বন্ধ করুন। তা নাহলে এসব টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, ভারতে ওষুধ নিয়ন্ত্রকরা কোভিশিল্ডকে উৎপাদনের তারিখ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত তা ব্যবহারের উপযোগী বলে অনুমোদন দিয়েছে। সেরামের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেছেন যে, উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে শুধু কোভিশিল্ড। এই কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের জায়ান্ট ওষুধ প্রস্তুতকারক নোভাভ্যাক্সের লাইসেন্সের অধীনে উৎপাদন করে কোভোভ্যাক্স টিকা।