ছয় মাসে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন

 

পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমসে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাস্টমস কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর, মংলা কিংবা চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের প্রত্যেকটি বন্দরে আমদানি-রফতানি পণ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আমরা সকল শুল্ক স্টেশনে স্ক্যানার মেশিন বসাবো। এর মাধ্যমিক আমরা জানতে পারবো সঠিক পণ্য আসছে কিনা।

তিনি বলেন, যখন বিভিন্ন পোর্ট দিয়ে পণ্য আমদানি করা হয়। তখন এক পণ্যের পরিবর্তে অন্য কোন আসলো কিনা। অর্থাৎ কি ধরনের পণ্য আসলো সে বিষয়টি ভালো করে দেখা হবে। যদি সঠিক পণ্য আমদানি করা হয় তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ সবাই লাভবান হবে।

এ বছর খুব বেশি ভালো রাজস্ব আদায় না হলেও গত ছয় মাসে আমরা ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। গত পাঁচ বছরে গড়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি বলেও অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা শুধু রাজস্ব আদায় করব সেটা নয়। আমাদেরকে রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি জনগণের সেবা দিতে হবে। জনগণের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের যেন ঘাটতি না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামে এবং শহরের কোন ধরনের বৈষম্য থাকবে না। আমরা বৈষম্য দূর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে আমাদের এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মানুষের মনে কাস্টমস নিয়ে এক ধরনের ভীতি রয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করে কাস্টমস মানেই সমস্যা। ব্যবসায়ীদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে এই ভীতি দূর করার আহ্বান জানান তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, আগের থেকে কাস্টমসে অনেক জটিলতা কমেছে। সামনে কাস্টমসের আরো জটিলতা কমে আসবে। আমি আগে যখন কাস্টমসে পণ্য খালাসের জন্য যেতাম তখন ৪২ জায়গায় স্বাক্ষর করতে হতো। এখানে এসে যেন কেউ ভোগান্তির শিকার না হয় সে বিষয়টি আপনারা খেয়াল করবেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড মসিউর রহমান, অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।