গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর দাবি শিল্পে

নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পকে অগ্রাধিকার এবং গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সচিবালয়ে জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলামের সঙ্গে গ্যাস সংকট লাঘবে বৈঠক করেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। ওই বৈঠকে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এগুলোসহ ৫টি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সুরক্ষার জন্য গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রমঘন পোশাক ও বস্ত্র শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া। তিতাস গ্যাসের নতুন সংযোগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই-বাছাই কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা। যাতে কারখানাগুলো সময়মতো উৎপাদন শুরু করতে পারে।
লোড বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই, শুধু সরঞ্জাম পরিবর্তন, পরিমার্জন বা স্থানান্তরের জন্য আবেদনকারীদের একটি আলাদা তালিকা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়া। কম লোড বৃদ্ধির আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সংযোগ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়, যা ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলোকে দ্রুত উৎপাদনে যেতে সাহায্য করবে। ধামরাই ও মানিকগঞ্জের মতো গ্যাস পাইপলাইনের শেষ প্রান্তে অবস্থিত কারখানাগুলোতে গ্যাসের চাপ কমে যায়, সেখানে অন্তত ৩-৪ পিএসআই চাপ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন,
গ্র্যাজুয়েশনের পর আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ধরে রাখা এবং বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সুরক্ষিত রাখতে পোশাক শিল্পের পথ সুগম করা অত্যন্ত জরুরি।
চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না পাওয়া এবং পর্যাপ্ত গ্যাসের চাপ না পাওয়ার কারণে অনেক কারখানা তাদের পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না, যা রপ্তানি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ সময় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে জ্বালানি সচিবের সহায়তা চান তিনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম আশ্বাস দিয়ে বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাত পোশাক শিল্পকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ খাতের সমস্যাগুলো নিরসনে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।