লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, পেঁয়াজের দাম দ্রুত গতিতে বাড়ায় রাজধানী নয়াদিল্লিসহ কয়েকটি জায়গায় ১০০ টাকা প্রতি কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আর এই দামবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতেই কেন্দ্র সরকার এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্য সংস্থা এমএমটিসি পেঁয়াজ আমদানি করবে, তবে সমবায় নাফেদ দেশীয় বাজারে এই আমদানি করা পেঁয়াজ সরবরাহ করবে।
খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমএমটিসিকে ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি এবং দেশীয় বাজারে তা বিতরণের জন্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।’ নাফেদকে সারা দেশে আমদানি করা পেঁয়াজ সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
শনিবার অনুষ্ঠিত সচিবদের একটি কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে সরকার জানিয়েছিল যে, পেঁয়াজের জোগান বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্য দেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
এমএমটিসি জানায়, একটি দরপত্র ১৪ নভেম্বর এবং দ্বিতীয়টি ১৮ নভেম্বর বন্ধ হবে। দুই হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান অবিলম্বে ভারতীয় বন্দরগুলোতে পৌঁছানো উচিৎ এবং দ্বিতীয় চালান ডিসেম্বরের শেষের দিকে সরবরাহ করা যেতে পারে।
দরদাতাদের ন্যূনতম ৫০০ টন পরিমাণের জন্য দরপত্র দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ডিপোর ক্ষেত্রে দরপত্রের সর্বনিম্ন পরিমাণ হবে ২৫০ টন। প্রয়োজনীয় সরবরাহের ওপর নির্ভর করে ২৫০ টন ইউনিটগুলোর সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জোগানের অভাবে ভারতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
দেশটিতে পেঁয়াজের মূল উৎপাদক মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে ভারি বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের অভ্যন্তরীণ উত্পাদন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণে এই দাম বেড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।