ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কারনে ভোলার উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বেড়ে গেছে।
এতে করে উত্তাল হয়ে ওঠেছে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী। পানি বেড়ে যাওয়ায় ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, মনপুরা, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজলার বেড়িবাঁধের বাইরে পানিবন্দি রয়েছে কয়েক শো পরিবার।
ওই সব উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে দিনভর বাতাসের বেগে অবিরাম গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়েছে। ভোলা থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারি সব ধরনের নৌযান বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
জেলার সাত উপজেলায় ৮টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবারেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা রেডক্রিসেন্ট সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ জানান, তাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মী উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতায় কাজ করছে। সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা মো. নাছিম জানান, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বেড়ে গেছে। উত্তাল হয়ে ওঠেছে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী। সকল মাছ ধরার ট্রলারের মালিকদেরকে তীরে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।