হাজীগঞ্জে সংঘর্ষে নয়, স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষক মানিক সাহা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অংকের শিক্ষক মানিক সাহার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগা-যোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) গুজব রটে সংঘর্ষে এক হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুবরণ হয়েছে। বিষয়টি অস্বীকার করে মানিক সাহার ছোট ভাই লোকনাথ সাহা সংবাদকর্মীদের নিশ্চিত করেন সংঘর্ষে নয়, আমার ভাই স্ট্রোক হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে কাউকে গুজব ছড়াতে তিনি নিষেধ করেন। আমার ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে কারো প্রতি কোন অভিযোগ নেই।

লোকনাথ সাহা বলেন, আমার ভাই বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অংকের শিক্ষক ছিলেন। এ ছাড়াও আরো কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। চলতি বছরই সে বিয়ে করে। তার স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।

নিহত শিক্ষক মানিক সাহার বন্ধু হাছান সাংবাদিকদের জানান, মানিক সাহা বুধবার বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজার সহ কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে বলাখাল যায়। সেখান থেকে আমাকে ফোনে জানতে চায় হাজীগঞ্জ বাজারে কি হয়েছে। আমি বলেছিলাম হাজীগঞ্জ বাজারে গণ্ডগোল চলছে, গোলা-গুলি হচ্ছে। তুই বলাখালই থাক। এর ঘন্টাখানেক পরে সে আমাকে ফোনে জানায়, আমি ফায়ার সার্ভিসের দিকে আছি। একটি সিএনজি নিয়ে আস। আমি খুবই অসুস্থ্য। এর প্রায় আধাঘন্টা পর আমি একটি রিক্সা নিয়ে তার জন্য যাই। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় সে আমার কোলেই মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মৃত্যু, মা-মেয়েসহ ৩জনকে ধর্ষণ এমন কয়েকটি ঘটনা ১৪ অক্টোবর থেকেই ফেইসবুকে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) ভাইরাল হয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রোটা. রুহিদাস বণিক।

তিনি তার ফেইসবুকে বক্তব্য দিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেন, ভিডিওতে তিনি সংঘর্ষে মৃত্যু ও ধর্ষণকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন।

এ সময় তার পাশে বসা থাকতে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) প্রাণ কৃষ্ণ সাহা, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন।