হৃদয়সংবেদী আত্মপ্রকাশের তাগিদ থেকেই শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির গোড়াপত্তন। মানুষের মানসজাত ভাবনা কল্পনা উন্মুল চিন্তা চেতনার স্রোতধারায় অপরের কাছে পৌছে দেয়া শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত সৃজনপ্রয়াসী সাহিত্যিকের কাজ। যারা অবিরাম চর্চার উৎকর্ষে ও সুন্দরের সান্নিধ্যে সৃষ্ঠি করে রুচিশীলিত জাগ্রত সত্তার আখ্যান। সংস্কৃতি মানুষকে পরিশুদ্ধ করে। সাহিত্য মানুষকে অনুভবের দর্শনে আলোর পথ দেখায়। এ আলোর পথ ধরেই মানুষের মধ্যে সাহিত্য ভাবনার উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠে, যা সমাজে শুভবোধের বিকাশ ঘটায় এবং মানুষের মধ্যে অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। তেমনি করে মননশীলতার উৎকর্ষতায় বাংলা সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের ক্ষেত্র সমৃদ্ধ হয়েছে লেখক, কবি, সাহিত্যিক, গবেষক, প্রবন্ধকার, ঔপন্যাসিকদের সৃষ্টি সৌকর্যে । শিল্প, সংস্কৃতি সাহিত্যের শোভিত উদ্যান ভরে গেছে অনবদ্য সৃজনশীল লেখকের সৃজনকর্মে। প্রবহমান সাহিত্যকর্মের বোধনে সাহিত্য নির্মানের কলাকুশলীদের সৃজিত শিল্প সাহিত্যকৃতির শাব্দিক সম্ভারের গহন নথিকে সমকালীন মূল্যায়নের অভিপ্রায়ে অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্টির সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মূখপত্র “অনোমা‘র ৪২তম বর্ষসংখ্যার প্রাণময় আত্মপ্রকাশ। যা গত ১৮ মে ২০১৮ ইংরেজী পাঠকের হাতে সর্মপণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে পাঠকের বিশ্লেষণী মূল্যায়নের জন্য সমর্পণ করেছেন।
অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর এ আয়োজন ছিল অনবদ্য ও দ্যুতিময়। সাধারণত এ ধরনের বইয়ের পাঠোন্মেচন বা পাঠ প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠানে ঋদ্ধ ভাবনার পাঠকের উপস্থিতিই সচরাচর বেশি দেখা যায়। অনোমা’র পাঠকের হাতে সমর্পণ অনুষ্ঠানটি ও নান্দনিক বিচারে আরো ব্যতিক্রমী ছিল। যার মূল আকর্ষণ ছিল সভামঞ্চ আলোকিত করা বরেণ্য সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এবং দর্শকসারিতে উপস্থিত প্রাজ্ঞ কবি, সাহিত্যিক, গল্পকার, সংস্কৃতিকর্মী ও বোদ্ধা পাঠককূল।
অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর এ অনুষ্ঠানে পাঠ প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী একজন আলোচকের দৃষ্টিতে ”অনোমা”কে পরখ করে দেখেছি রুচিবান পাঠকের বোধের গভীরতায়। “অনোমা” নিঃসন্দেহে একটি অনন্য সৃজনকর্ম। একটি দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদশৈলীর নিপূণতা “অনোমা‘র অবয়বে। যার সৃজনসত্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন মি. রঞ্জন বড়ুয়া। পরিচ্ছন্ন শিল্প প্রকাশের ছাপ রেখেছে মুদ্রণ কারিগরিতে “পূর্বা“। সম্পাদনা পরিষদের অক্লান্ত পরিশ্রমে “অনোমা” মুদণজঠর থেকে সরাসরি পাঠকের হৃদয় ছুঁয়েছে। সম্পাদক আশীষ বড়ুয়া শিল্পিত চর্চায় নতুন ও পরিবর্তিত জীবনের স্লোগানে “অনোমা” কে দাড়ঁ করিয়েছেন পাঠকের দরবারে। তাঁর সম্পাদকীয়তে যাপিত জীবনের দিনলিপির চালচিত্র। প্রকৃতি, মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতির মেলবন্ধন। তাঁর শুদ্ধ চেতনায় পরিবেশ, জলবায়ু প্রকৃতি রক্ষার উচ্চকিত কন্ঠ। পুজিঁবাদী শোষণ শাসন, সামাজিক অস্থিরতা, ব্যক্তির আত্মকেন্দ্রীকতা, স্বার্থবাদী চিন্তার অর্গল ভেঙ্গে সমাজ প্রক্রিয়ায় প্রত্যয় । তাঁর অনুপম ভাবনার স্বপ্নজাল “অনোমা“র সূচনায় ছড়িয়েছে সত্য–সুন্দরের স্ফুরিত চেতনার উদ্দীপ্ত মননের স্নিগ্ধতা এবং বোধের প্রকাশ। “অনোমা উৎসর্গিত হয়েছে শ্রদ্ধা স্মরণের আবরণে অ্যাডভোকেট প্রেমাঙ্কুর বড়ুয়ার উদ্দেশ্যে। যিনি একজন নিষ্ঠাবান প্রবীণ আইনজীবি ও অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রধান উপদেষ্ঠা ছিলেন।
“অনোমা” সমৃদ্ধ হয়েছে প্রাজ্ঞ লিখিয়েদের ভাবনাপুঞ্জের চেতনাদীপ্ত শব্দমালায় সাহিত্যের সারোৎসার উন্মোচন, বিশ্লেষণ, প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প ও রম্যকথনে। প্রবন্ধগুলো সাহিত্য শিল্পের সৃষ্ঠির সামগ্রিকতায় সমকালের মূল্যায়ণে উৎকীর্ণ। কবিতাগুলো নির্মাণশৈলীর দ্যোতনার মিশেলে বৈচিত্র্যময় মাধুর্য্যরসে টইটুম্বুর। গল্পের শরীরজুরে আছে ভাষা ও শব্দের বিপুল বৈভবে বিস্তৃত ভাবাবেগের প্রকাশ। “অনোমা” তে মোট ২২টি প্রবন্ধ, ৯টি কবিতা, ৬টি গল্প ও ১টি রম্যরচনা স্থান পেয়েছে। পাঠপ্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে সময়ের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ রেখে মেপে মেপে ৬টি প্রবন্ধ নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছি। তবে লেখকদের সব রচনায় অবগাহন করেছি এবং মননশীল অনুভবে নির্যাস নিয়েছি প্রাণভরে। প্রবন্ধকারগণ যে প্রবন্ধ রচনায় সিদ্ধহস্ত তার প্রমাণ মেলে “অনোমা“র প্রবন্ধ সম্ভারে।
প্রবন্ধকার প্রেমাঙ্কুর বড়ুয়া তাঁর প্রবন্ধে আমাদের সমাজ সংস্কৃতি ভাবনার মূর্তরূপ “অনোমা”তে বিধৃত করেছেন। অনোমা’র মানসজুড়ে যে প্রগতিশীল সংস্কৃতি চর্চার দৃপ্ত যৌবন তাকেই তুলে এনেছেন তাঁর লেখনীতে। লেখকের মনন চিন্তনে সংস্কৃতি চর্চার স্বচ্ছদৃষ্টি বিম্বিত। যা প্রকাশ পেয়েছে অনবদ্য জীবনবোধের উৎসারনী শব্দমালায়। তাঁর রচনায় অনোমা’র দীপ্র পথচলা, সমাজ, সংষ্কৃতিভাবনা, বৌদ্ধিক তত্ত্ব বিশ্লেষণ, মানবিক বোধের আকাঙ্খা সর্বোপরি মানবকল্যাণের শুদ্ধতম পথের বর্ণনা নির্দ্ধিধায় প্রকাশ করেছেন লেখক। সমাজ চেতনায় আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক মানসগঠন প্রক্রিয়ায় সময়ের চাকায় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের জোয়ার। তাঁর অন্তর্দৃষ্টির প্রাখর্যে জীবনের সিড়ি ভেঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় উচ্চকিত। মানবিক জাগরণের স্রোতধারায় উজ্জীবনের জয়গানে সত্য সুন্দরের ধ্যান প্রকাশ পেয়েছে তাঁর প্রবন্ধে।
“আত্ম চেতনার মুকুরে বুদ্ধ” প্রবন্ধটি অধ্যাপক বাদল বরণ বড়ুয়া’র দেশ–কাল–ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সমকালীন জীবনধারার অনন্য বয়ান। তিনি তাঁর লেখনীতে তুলে এনেছেন সময়ের ব্যাপ্তিতে ধাবমান জীবন যাপনের বাস্তবতার যুক্তিসিদ্ধ চিত্র। তাঁর অনুভব উপলদ্ধির প্রাণবন্ত বিশ্লেষণে রচনাটি ভাষা সৌন্দর্যে একটি অনিন্দ সৃজন। তাঁর উদ্ধৃত একটি পংক্তিই বারবার ধ্বনিত হচ্ছে “এ পৃথিবীর অসুখ, গভীরতর অসুখ“। লেখকের একটি উক্তিই পৃথিবীর সুখ অসুখের ঘুর্ণায়মান চক্রব্যুহে যাপিত জীবনের কথা বলে দিচ্ছে। যুক্তিবাদী দার্শনিক মতবাদ, ধর্মীয় তত্ত্ব ,অবরুদ্ধ সমাজ ব্যবস্থায় কতটুকু মানুষের মনে আলো জ্বালায় ? বোধের জাগরণে সামিল হতে লেখক বুদ্ধের লব্ধজ্ঞানের অকৃত্রিম বাণীর প্রয়োজন অনুভব করেছেন।
প্রগতিবাদী সাহিত্যিক ও কলামিস্ট যতীন সরকার লৌকিক ধর্ম ও বাঙালি সমাজ নিয়ে চর্চা করেছেন। তিনি বিশ্লেষণ করেছেন বাঙালির লৌকিক ধর্ম ও লৌকিক ধর্ম প্রভাবিত প্রকৃত বাঙালি জীবন ভাবনায় ও জীবন ধারণে প্রাচীন বস্তুবাদের উত্তরাধিকারবাহিত হওয়ার প্রচুর প্রমাণ ও দৃষ্টান্তই উল্লেখ করা যায়। যা ছড়িয়ে আছে বাঙালির লৌকিক সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতির সকল শাখা উপশাখায়। চর্যাগীতি, দোহাকোষের কাল ছড়িয়ে প্রাচীন লোকায়ত বস্তুবাদ ও দেহাত্মবাদ ভিত্তিক ভাবনা চিন্তার উৎসারণ ঘটিয়েছেন তিনি। তাঁর রচনায় আছে দার্শনিক বক্তব্য , সমাজ সচেতনতার বৈপ্লবিক প্রত্যয়, আধুনিক বস্তুবাদী প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ বিপ্লবীদের মাঝে তিনি ধনতন্ত্রী সাম্রাজ্যবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সংশপ্তকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার দ্রোহ ছড়িয়েছেন সাবলীলভাবে। খ্যাতিমান কবি, প্রাবন্ধিক ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত নবীনসেনের জীবনীকাব্য : অমিতাভ প্রবন্ধে নবীনচন্দ্র সেনের বেড়ে ওঠা, বিস্ময়কর কবি চরিত্রে রূপান্তর এবং সারস্ব্বত সমাজে স্বীকৃতি লাভের কীর্তিময় অভিজ্ঞান প্রাঞ্জলভাবে বর্ণনা করেছেন। কবি নবীনচন্দ্র সেনের বুদ্ধজীবন অবলম্বনে রচিত কাব্য অমিতাভ’র আলোচনায় কবি বলেছেন বুদ্ধের জীবনবোধ, বুদ্ধের লীলাভূমি বুদ্ধগয়া, রাজগীর পরিদর্শন এবং বুদ্ধজীবনের নানা গ্রন্থ অধ্যয়ন করে কবি নবীনচন্দ্র সেনের উন্মেষ ঘটেছিল অমিতাভ এর মতো কাব্য সৃষ্টির। নবীনচন্দ্র সেন বুদ্ধকে অতিমানব হিসেবে নয়, মহামানবরূপে উপস্থাপনের যে নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন তাহাই প্রাজ্ঞ কবি অরুন দাশগুপ্ত তাঁর প্রবন্ধে বিবরণ দিয়েছেন।
বিশিষ্ঠ কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন বাঙালি সংস্কৃৃতির বৈশিষ্ঠ্য ও বর্তমান চ্যালেঞ্জ এর রচনা বিন্যাসে একটি সুষ্পষ্ট বক্তব্যে জানান দিয়েছেন সংস্কৃতি নিয়ে আমরা যতই না চর্চা করি আমাদের থাকতে হবে সংস্কৃতির মৌল চেতনা। তিনি এ কথা দ্ব্যর্থহীনভাবে উচ্চারণ করেছেন। সংস্কৃৃতিচর্চার প্রবহমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সময়োপযোগী উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস রামমোহন রায় বাঙালির এক সহিঞ্চু বন্ধু প্রবন্ধে একজন বাংলা গদ্যের জনককে নিপুন কারুকার্যময় ক্যানভাসে একেঁছেন সযত্নে। যাতে আছে রামমোহন রায়ের বেড়ে উঠা এবং পল্লবিত হওয়ার বির্মূত আখ্যান।
দীর্ঘ পাঠ আলোচনায় এতগুলো প্রবন্ধের বিশ্লেষণ সহজ নয়। প্রবন্ধকারদের মধ্যে অধ্যাপক ডা: প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপক তপন জ্যোতি বড়ুয়া, অধ্যাপক মহীবুল আজিজ. ড. আনোয়ারা আলম, প্রয়াত অধ্যাপক বিশ্বজিৎ সিংহ, সুজন কুমার বড়ুয়া, মাধবদীপ, জামালউদ্দীনসহ প্রমুখ লেখক তাঁদের রচনার সৌরভে অনোমাকে করেছে অতুলনীয় একটা মুখপত্রে। এছাড়া কবি ডা: কল্যাণ বড়ুয়া, বিপুল বড়ুয়া, উৎপল কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক সুকান্ত ভট্টাচার্য, আশীষ সেন প্রমুখ কাব্যিক দ্যোতনায় কবিতার শরীরে ছড়িয়েছেন ছন্দের যা্দুকরী মোহময়তা। কবি– সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, শিশুসাহিত্যিক ও গল্পকার দীপক বড়ুয়া, অধ্যাপক শিশির বড়ুয়া, মিলন বনিক ও অরূপরতন চৌধুরীর গল্প ছুঁয়ে গেছে পাঠকের অর্ন্তজগৎ।
সত্যসন্ধানী রম্যলেখক শ্রদ্ধেয় সত্যব্রত বড়ুয়া’র রম্যকথন “ঢোল” অনোমাতে অনন্য সংযোজন। সত্যব্রত বড়ুয়া তাঁর রম্যলেখনীর মাধ্যমে সমাজের বিদ্যমান অসংগতি বাস্তবতার নিরিখে তুলে ধরেন পাঠকের মনের আয়নায়। তাঁর এবারের “ঢোল” বিষয়ক রম্যকথা একটি অনবদ্য সত্যভাষণের দলিল। “ঢোল” এর মাধ্যমে তিনি সমাজের শর্টকাট পথে লেখক হওয়া , নেতা হওয়ার কুটকৌশলে যারা ব্যস্ত তাদের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন। কৃত্রিম লেবাসধারী, প্রচারমুখী লোকজনের ঢোলবাজানোর অপচেষ্টা ফুটে উঠেছে তাঁর রচনায়। ঢোল কে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে সেকাল থেকে একালের ফেসবুক এর নতুন মাত্রায় উপস্থাপন করেছেন। তিনি তার “ঢোল” এর মাধ্যমে সমাজে সঞ্চারিত সামাজিক মাধ্যমের বাড়াবাড়ি ও প্রচারমুখী লোকজনের প্রচারে প্রসারের বক্তব্যকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।
অনোমা’র নান্দনিক প্রকাশ সত্যিই অভূতপূর্ব। মুগ্ধতার স্বীকারোক্তিতে এ কথা বলতে পারি অনোমা সম্পাদক আশীষ বড়ুয়া দূরপ্রসারী মননশীল মুন্সিয়ানায় অনোমাকে সাজিয়েছেন পরম যত্নে। যা সুদীর্ঘকাল আলোর প্লাবনে ভরিয়ে দেবে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ভূবন। অনোমা সৃষ্টি করুক আরো নতুন ইতিহাস, নতুন ভুবন এবং পাঠকের সাহচর্যে শত ফুলে বিকশিত হোক জগতময়। নগণ্য মুদ্রণ প্রমাদ থাকলেও অনোমা পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। পরিশেষে পাঠকের অনুভুতিতে বলতে পারি অনোমা সুপাঠ্য হিসেবে পাঠককূলের কাছে বিবেচিত হবে।