সফল মেন্টরেরা এগিয়ে দিচ্ছেন নতুন পরিচালক ও বাংলা ছবির নতুন জুটিকে। পারিবারিক ড্রামার যুগোপযোগী পরিবেশনে দর্শকের মন জিতেছিল ‘মুখার্জীদার বউ’।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের প্রযোজনায় আরও এক বার আটপৌরে বাঙালি গার্হস্থ্যের গল্প বুনবেন নতুন পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়। তবে ছিমছাম দাম্পত্যের আড়ালেও রয়েছে এক অন্য কাহিনি, যা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানেন না। সেটে পরিচালক এবং কলাকুশলীও সেই গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রথম বার উইনডোজ়-এর প্রযোজনায় ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবিতে কাজ করছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী (শবরী) এবং সোহম মজুমদার (বিক্রমাদিত্য)। নতুন জুটি নিয়ে আশাবাদী শিবপ্রসাদ, ‘‘বাঙালি দর্শক নতুন জুটি চাইছেন।’’ তবে ছবির আগে ঋতাভরী ও সোহম পরস্পরকে চিনতেন না। ‘‘ওয়র্কশপেই সোহমের সঙ্গে আলাপ। ও খুব সহজ-সরল, কোনও জটিলতা নেই। তাই বন্ডিং তৈরি করতে সমস্যা হয়নি,’’ বলছেন ঋতাভরী।
ছবির পোস্টারে দশভুজা ঋতাভরীকে দেখা গিয়েছিল। শবরী কি তবে মাল্টিটাস্কার? ‘‘আমাদের কাছে দশভুজা মানেই তাঁকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া বা সানিয়া মির্জা হতে হবে। বাইরের চাকচিক্য না থাকলেও যে একটি সাধারণ মেয়ে অনন্য হতে পারে, সেটা এই ছবি দেখাবে,’’ বললেন ঋতাভরী। ছবিতে শবরী সংস্কৃতের প্রোফেসর, বিয়ে হয় যৌথ পরিবারে। মফস্সলে বড় হলেও নিজের যুক্তিবাদী মনের সঙ্গে কখনও আপস করে না সে। আর প্রমীলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে শবরীর একটি গোপন পেশাও রয়েছে, যা এই ছবির ‘সারপ্রাইজ়’।
ঋতাভরীর মিষ্টত্বই চরিত্রটির ইউএসপি। অরিত্র বলছিলেন, ‘‘শবরী যখন ভারী ভারী কথা বলবে, তখনও যেন ওকে রূঢ় না মনে হয়। সেই জন্যই ঋতাভরীকে নেওয়া। আর বিক্রমের চরিত্রে এমন একজনকে চেয়েছিলাম, যে ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যায়। আর এই ছবির গল্পটা লিখেছে আমার এক বন্ধু রানি।’’
সোহমের চেহারা তথাকথিত তারকাসুলভ না হলেও ‘কবীর সিং’-এর পরে তাঁকে চেনার লোকের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। ‘দৃষ্টিকোণ’-এর পরে সোহম বাংলা ছবিতে কাজ করার জন্য শিবপ্রসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। একই সময়ে ‘কবীর সিং’-এর সাফল্যের পরে শিবপ্রসাদও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ‘‘ছবির চরিত্র নিয়ে বেশি বলতে চাই না। বিক্রমাদিত্য পারফেক্ট নয়, কিন্তু আদর্শ স্বামী। শুধু বাঙালি কেন, দেশের যে কোনও স্বামীর তার মতো হওয়া উচিত,’’ মত সোহমের।
শিবপ্রসাদের ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন অরিত্র। ‘‘আমার শিক্ষা কোনও ফিল্ম স্কুলে হয়নি। সবটাই শিবুদা ও নন্দিতাদির সেটে। তাঁদের গুরুদক্ষিণা দিতে পারছি, এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা,’’ বলছেন তিনি। শিষ্য যদি গুরুকে ছাপিয়ে যায়, তা হলে ভাল লাগবে? ‘‘সন্তান যদি ভাল করে, তবে কি মা-বাবার খারাপ লাগে? আমরা তো ওদের মেন্টর,’’ বললেন নন্দিতা।