ইরাকের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদরের দল সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে।
প্রাথমিক ফলে তার দলের আসন সংখ্যা বাড়ার আভাস পাওয়া গেছে। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি দৃশ্যত শিয়া দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন। খবর রয়টার্সের।
ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী শিয়া এবং ২০০৩ সালে সাবেক শাসক সাদ্দাম সরকারের পতনের পর এ বিষয়টি বেশি স্পষ্ট হয়।
এর পর থেকে ইরাকের রাজনীতিতে শিয়া দলগুলো প্রাধান্য বিস্তার করে এবং তারাই এখন পর্যন্ত সরকার গঠন করে আসছে।
নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই রোববার ইরাকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সরকারের পতন হয়। রোববারের নির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, ৩২৯ আসনবিশিষ্টি ইরাকি পার্লামেন্টে মুকতাদা আল-সাদরের দল এখন পর্যন্ত পেয়েছে ৭৩ আসন।
সুন্নি নেতা ও সংসদ স্পিকার মোহাম্মাদ আল-হালবুসির দল প্রোগ্রেসিভ কোয়ালিশন ৩৮ আসন পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় স্থানে থাকা ‘রুল অব ল’ দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
ইরাকি পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলে এগিয়ে থাকা দলের নেতা মুকতাদা আল-সদর ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
তিনি সোমবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে ‘বিদেশি প্রভাবমুক্ত একটি জাতীয়তাবাদী’ সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।