অর্থবাংলা : গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের নিবন্ধন সনদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। যা বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে।
এ সংক্রান্ত করণীয় ব্যবস্থা নিতে ডিএসইকে নির্দেশ প্রদান করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ি মামলা দায়ের করার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিএসইসির ৭০৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা কমিশনের নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শাহ্ মোহাম্মদ সগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের কারণে তার ট্রেড বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া ১৩/১০/২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ৭০০তম জরুরি কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানের ডিপোজেটরি পার্টিসিপেন্ট কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নবস্থাপিত কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল (সিসিএএম) এর মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশন অদ্যবধি ৪৮টি অভিযোগ পেয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগ আইপিও’র জন্য জমা দেওয়া টাকা ফেরত না পাওয়া সংক্রান্ত।
এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশন ১৭ অক্টোবর,২০১৯ তারিখে ডিএসই’র চেয়ারম্যান এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সভাপতির কাছে দুটি পৃথক চিঠি প্রেরণ করে। চিঠিতে কমিশন গ্রাহকদের সম্পদ রক্ষার জন্য এই দুই প্রতিষ্ঠানের সরাসরি কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানায়। তবে এতে এখনো পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি। কমিশনের নির্দেশে ইতিমধ্যে ডিএসই একটি পরিদর্শন পরিচালনা করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে দেখা যায় গ্রাহকের বিপুল অংকের টাকা এই প্রতিষ্ঠান আত্মসাৎ করেছে।
তাই শাহ্ মোহাম্মদ সগীর প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন সনদ বাজেয়াপ্ত করে তার বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া এই আত্মসাৎয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।