শহীদুল ইসলাম, তারাগঞ্জ, রংপুর :
লালমনিরহাটে পানিবন্দি হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে হাজার হাজার মানুষ। উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। এছাড়াও একটানা বৃষ্টিপাতের কারণে আগাম জাতের আমনধান সহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ‘অর্থবাংলাডটকম’ কে জানান উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢালে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে একাধিক গ্রাম। দহগ্রাম ইউনিয়নের মহিম পাড়া, সৈয়দপাড়া, সরদারপাড়া, কাজীপাড়া, তিস্তারচর ও ৭নং গুচ্ছগ্রামের প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পানিবন্দি মানুষ খাবার সঙ্কটসহ গবাদি পশু নিয়ে আবর্নীয় দুর্ভোগে পরেছে।
এলাকার ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা করিমুন্নেসা বলেন, ‘‘মুই সকালে একখানা বিস্কুট খ্যায়া আছুং দুপুরে কিছুই খাঙ নাই,
ছাওয়াটাও না খ্যায়া আছে। বাবা, হামাক এ্যানা থাকিবার জায়গা করি দেন, বাবা আইতোত ছাওয়াটাক নিয়া থাকিম।’’
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস সড়কটি ভেঙে গেছে। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ব্যারেজের ৪৪ টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান বুধবার সহ গত তিনদিনের একটানা বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে আমন ফসল সহ ঘরবাড়ি গাছপালা শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দেওগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় পাচঁশত পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। এসব বানভাসি মানুষকে সাহায্যোর জন্য তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষ ও সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।