কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ হাজার রুপি প্রদানে ভারতের সব রাজ্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্রে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ না থাকলেও এ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। সোমবার বিচারপতি এমআর শাহ এবং এএস ভুপান্নার বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
আদালত জানান, সংশ্লিষ্ট জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অথবা জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জমা দেয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ সময় আবেদনের সঙ্গে কভিড-১৯-এর কারণে রোগী মৃত্যুবরণ করেছে এমন প্রমাণ দাখিল করতে হবে বলেও জানান আদালত। তবে কোনো রোগীর মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্রে কভিড-১৯-এর কারণে মৃত্যুবরণ করেনি এমনটা উল্লেখ থাকলেও তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। তবে সেক্ষেত্রে মৃত্যুর ৩০ দিন আগে রোগীর আরটি-পিসিআর টেস্টে কভিড পজিটিভ থাকতে হবে। আদালত জানান, কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের পরিবার রাষ্ট্র বা অন্য কোনো সংস্থা কর্তৃক অন্য কোনো ধরনের অনুদান পেলেও এ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেন, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দুর্যোগ সহায়তা তহবিল থেকে এ ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে হবে। এক্ষেত্রে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অথবা জেলা প্রশাসন কর্তৃক এ ক্ষতিপূরণের অর্থ দেয়া হবে।
ভারতের শীর্ষ আদালত আদেশ দেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত মৃত্যুর প্রত্যয়নপত্রে কভিড-১৯-এর কারণে মৃত্যুবরণ করেনি শুধু এ কারণ দেখিয়ে কোনো রাজ্য মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে না।
আদালত আরো উল্লেখ করেন, যদি কোনো ব্যক্তি কভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসার ৩০ দিনের মধ্যে আত্মহত্যা করেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন এক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে। আদালত জানান, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী রাজ্য দুর্যোগ সহায়তা কমিটি এ ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ করার ব্যবস্থা করবে।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট জানান, এ সহায়তা ২০০৫ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ১২ (৩) ধারা অনুযায়ী দিতে হবে। একই সঙ্গে এ সহায়তা ভারত রাষ্ট্র, রাজ্য সরকার, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল দ্বারা প্রদত্ত অন্য কোনো সহায়তার থেকে আলাদা হবে। একই সঙ্গে এ সহায়তার বিবরণ এবং আবেদনের স্থান তথা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের দপ্তরের ঠিকানা সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে বলেও আদেশ দেন আদালত।