বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হলে আকর্ষণীয় নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, শুল্ক সমন্বয়, ক্রসবর্ডার বাণিজ্য সম্প্রসারণ, নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা দূর করতে হবে। গতকাল ‘এশিয়া-প্যাসিফিক এবং বাংলাদেশ: অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
২৬ অক্টোবর শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১-এর চতুর্থ দিনের এ ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নায়োকি। এতে আরো অংশ নেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ, এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির, ইউএনঅ্যাসক্যাপের ডেপুটি হেড ও সিনিয়র ইকোনমিক অফিসার ড. রজন সুরেশ রত্না প্রমুখ।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, নন-ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা, টেকনিক্যাল ও টেস্টিং সুবিধার অপর্যাপ্ততা এবং পিটিএ ও এফটিএর অনুপস্থিতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানের পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, এশীয় প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রবেশদ্বার বাংলাদেশ। এই ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, সরকারের ক্রমাগত নীতি সহায়তার ফলে দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোয় তা অব্যাহত থাকবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নায়োকি বলেন, উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, বাণিজ্য ব্যবস্থ্য সহজীকরণ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, পর্যাপ্ত কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সুবিধার অভাব, নন-ট্যারিফ সুবিধা গ্রহণে জটিলতা, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা পিটিএ এবং শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকাও বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি বাধা।