মালদ্বীপে বাজে এক অভিজ্ঞতার স্বীকার হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। হ্যানভেরু ফুটবল গ্রাউন্ডে রবিবার বিকেলে অনুশীলন ছিলো বাংলাদেশ দলের। দুই দিন বিশ্রামের পর ফুটবলারদের দুই ঘন্টা অনুশীলন করান অস্কার ব্রুজন। বাড়তি অনুশীলন করার অজুহাতে বাংলাদেশ দলকে হোটেলে ফেরার বাস দেয়নি আয়োজকরা। বাধ্য হয়ে পায়ে হেটে হোটেলে ফিরেছেন জামাল-তপুরা।
বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ছিলো বিকাল চারটায়। আয়োজকদের সূচি অনুযায়ী সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অনুশীলন করার কথা জামাল-তপুদের। দুইদিন বিশ্রামের পর এদিন বাড়তি ৩০ মিনিট দলকে ট্রেনিং করান অস্কার ব্রুজন।
এই অজুহাতেই বাংলাদেশ দলকে হোটেলে ফেরার বাস দেয়নি আয়োজকরা। অনুশীলন শেষে হোটেলে ফেরার বাস চাওয়া হলে বাংলাদেশরে লিয়াজো অফিসার জানান, বাড়তি অনুশীলন করার কারণে বাস চলে গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার হাসান মাহমুদ বলেন, আমাদের হোটেলে ফেরার বাস দেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ২০ মিনিট হেটে টিম হোটেলে জেনে ফিরেছি। আমরা বার বার আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে আমরা নাকি বাড়তি অনুশীলন করেছি, তাই বাস চলে গেছে’। বাংলাদেশ দলকে বহন না করে বাসটি তখন শ্রীলঙ্কাকে স্টেডিয়ামে আনতে নিয়ে যায় আয়োজকরা। বাধ্য হয়ে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে বায়ো বাবল ভেঙ্গে হোটেলে ফিরে বাংলাদেশ দল। বিষয়টি সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)-কে জানানোর কথা জানিয়ে হাসান বলেন, আমরা এরিমধ্যে সাফের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছি। লিখিতভাবে অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই নাকি ১২তম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রত্যেক ম্যাচের আগে করোনা টেস্টও করানো হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। সাংবাদিকরাও এর বাইরে নয়। তবে একই বাস যদি দুই দল ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে ‘স্বাস্থ্যবিধি ’ কোথায় থাকে?