থাইল্যান্ডে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় নিহত ১৫

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইয়ালা রাজ্যের এক গ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ১৫ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই হামলা হয়৷
বুধবার এক বিবৃতিতে মুখপাত্র কংচিপ তন্ত্রওয়ানিত জানান, হামলাকারীরা বন্দুক ও বিস্ফোরক নিয়ে গ্রামে ঢুকে গুলি চালানো শুরু করেন৷

হামলার জন্য তিনি ‘দক্ষিণ সীমান্তের তিন রাজ্যে শান্তি বিনষ্টকারীদের’ দায়ী করেন৷ থাই সরকার সাধারণত মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শান্তি বিনষ্টকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে৷

হতাহতদের মধ্যে গ্রামবাসী ছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও আছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র৷
ইয়ালাসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় পাতানি ও নারাথিওয়াত রাজ্য দুটি মুসলিম অধ্যুষিত৷ মালয়েশিয়া সীমান্তে অবস্থিত এই রাজ্যগুলো একসময় একটি স্বাধীন সুলতানি রাষ্ট্রের অংশ ছিল৷ ১৯০৯ সালে থাইল্যান্ড এগুলোকে সংযুক্ত করে৷

রাজ্যগুলোর আরও স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বিদ্রোহীরা ২০০৪ সাল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রম শুরু করেছে৷ এতে এখন পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷

থাই সরকার ঐ তিন রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গ্রামবাসীদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে থাকে৷ মঙ্গলবারের হামলায় হতাহতদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রামবাসীরাও আছেন৷

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ও-চা হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন৷
গত আগস্ট মাসে আব্দুল্লাহ এসরমসুর নামের এক মুসলিম ব্যক্তিতে সামরিক বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছিল৷ এরপর তদন্ত চলাকালে তিনি একসময় কোমায় চলে গিয়ে পরে মারা যান৷ আব্দুল্লাহর আটকের কয়েকদিন পর শেষ রাতে এক সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছিলেন৷ ঐ ঘটনার পর বিদ্রোহীরা প্রতিশোধমূলক হামলা করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল৷

এক সপ্তাহ পর ব্যাংককে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলার সময় কয়েকটি বোমা হামলা করা হয়৷ এতে চারজন আহত হয়েছিলেন৷ সরকার হামলার জন্য দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্রোহীদের দায়ী করেছিলেন৷ যদিও ঐ অঞ্চলের কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি৷