আপাতত ১৮ বছরের নিচে শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না। এটি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি সিটি করপোরেশনের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ভবনে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা পরিদর্শন শেষে এমনটাই জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মহাপরিচালক বলেন, ফাইজারের টিকা এবার ঢাকা ছাড়াও বড় বিভাগীয় শহর ও জেলা পৌরসভায় দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে অচিরেই দেওয়া হবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮২ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক ৫ লাখ করে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সে হিসেবে সপ্তাহে দেওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ এবং মাসে এক কোটি ২০ লাখ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে দিলেও দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব।
মহাপরিচালক বলেন, যে সমস্ত জায়গায় ফাইজারের টিকা দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই আমরা দিচ্ছি। আল্ট্রা কোল্ড চেইনে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার ন্যূনতম সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। যেভাবে টিকা আসছে তাতে সংরক্ষণে কোনো সমস্যা হবে না। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ফাইজারের টিকা সংরক্ষণে আমরা ২৬টি আল্ট্রা লো ফ্রিজার পেয়েছি। সামনে আরও টিকা আসবে।
এখন পর্যন্ত ফাইজারের ৪২ রাখ ৩৮ হাজার ৯১০ ডোজ টিকা এসেছে। সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে ৭৮ লাখ ভ্যাসিনের।