ওপেন সোর্স স্যাটেলাইট ইমেজে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) এম এম আল বিমানঘাঁটিতে চায়না ইলেক্ট্রনিক্স টেকনলজি গ্রুপ কর্পোরেশনের (সিইটিসি) তৈরি জেওয়াই-২৭এ রাডারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। জেনিস ডিফেন্স উইকলির খবরে একে জেওয়াই-২৭এ রাডার হিসেব উল্লেখ করা হয়। চলতি বছরের ৫ জুন থেকে ২৯ আগস্টের মধ্যে রাডারটি স্থাপন করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ২ সেপ্টেম্বর এটি সক্রিয় করা হয়।
২০১৬ সালে ঝুাহই এয়ারশোতে প্রথম এই রাডার উপস্থাপন করে সিইটিসি। প্রতিষ্ঠানটি জানায় যে জেওয়াই-২৭এ একটি ভিএইচএফ রাডার। বলা হয় এটি পাশে ও উপরের দিকে টু-ডাইমেনশন ইলেক্ট্রনিক স্ক্যান করতে পারে। সিইটিসির বক্তব্য অনুযায়ী এই রাডারের সুবিধা হলো এটি যেকোন দূরত্বে থাকা এফ-২২ র্যাপ্টর ও এফ-৩৫ লাইটিং-২ এর মতো স্বল্প-দর্শনযোগ্য তথা ‘স্টেলথ’ এয়ারক্রাফট সনাক্ত করতে সক্ষম।
জেওয়াই-২৭এ সিভিএলও (কাউন্টার-ভেরি-লো-অবসারভেবল) রাডারের পাল্লা এখনো জানা যায়নি। তবে শেফার্ড মিডিয়ার এক খবরে এই পাল্লা ৫০০ কিলোমিটার বলে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া জেওয়াই-২৭এ রাডার ধেয়ে আসা ব্যালিস্টিক মিসাইলের ব্যাপারে পরিস্থিতিগত সতর্কতা জারি করতে পারে।
পাকিস্তান এ ধরনের কয়টি রাডার কিনেছে তাও জানা যায়নি। এই রাডারের দূর পাল্লার ক্ষমতা বিবেচনা করে ধারণা করা যায় যে দেশটি দূর পাল্লার স্যাম ক্ষেপনাস্ত্রও সংগ্রহ করতে পারে। এ ব্যাপারে জানা গেছে যে চীনের কাছ থেকে তিন বা চারটি দূরপাল্লার এফডি-২০০০ ক্ষেপনাস্ত্র কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান।
২০১৪ সালে রশিয়া তার নিজস্ব ভিএইচএফ রাডার স্থাপন করার পর থেকেই পাকিস্তানে এই রাডার সংগ্রহের বিষয়টি আলোচনা হচ্ছিল। ফ্রান্সের কাছ থেকে ভারত রাফাল জঙ্গিবিমানের প্রথম চালান লাভের কয়েক দিনের মাথায় পাকিস্তান এই এন্টি-স্টেলথ রাডার স্থাপন করে।