৩৩ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও তাদের আশ্রয়দাতা কক্সবাজারের স্থানীয়দের উন্নয়নসহ তিন প্রকল্পে ৩৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার ৯৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসাবে দেবে ২৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার এবং অনুদান ৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার।

এ বিষয়ে পৃথক তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিগুলোতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দীকী ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং। সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রেহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ৮ কোটি ৬৭ লাখ ডলার দেবে এডিবি। এর মধ্যে ঋণ ২ কোটি ৮১ লাখ ডলার ও অনুদান ৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। এছাড়া খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার দেবে সংস্থাটি। এর মধ্যে ঋণ ১৫ কোটি ও অনুদান ৪০ লাখ ডলার। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ হিসাবে দেওয়া হবে ৯ কোটি ১০ লাখ ডলার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস অ্যান্ড লাইভলিহুড ফর ডিসপ্লেসড পিপল ফ্রম মিয়ানমার অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিজ ইমপ্র“ভমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য, সড়ক ও সেতু, ড্রেনেজব্যবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ এবং দুর্যোগ সহনশীলতা উন্নত ও সম্প্রসারিত করা হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার ও ভাসানচর অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগণের জন্য পৃথক পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হবে।

প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজারে সোলার-পাওয়ারড স্ট্রিটলাইট স্থাপন, ভাসানচরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন ও রান্নার জন্য বায়োগ্যাস উৎপাদনকে সমৃদ্ধ করা হবে।

কক্সবাজার ও ভাসানচরে প্রাকৃতিক সমাধানে ড্রেনেজ খাল পুনঃস্থাপন করা হবে। নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সুবিধা বাড়াতে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য হাতিয়ায় বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার এবং কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় মিনিপাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হবে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের স্থিতিশীলতা ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ জোরদারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। শরণার্থী শিবিরগুলোর বাসিন্দা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সামাজিক সংহতি বাড়াতে কাজ করছি।

সম্পর্কিত খবর