রাশিয়ান জ্বালানি ছাড়বে না হাঙ্গেরি

হাঙ্গেরির রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি মল গ্রুপ প্রতিবছর প্রায় ৫০ লাখ টন জ্বালানী তেল আমদানি করে। ড্রুজবা পাইপলাইনের মাধ্যমে যা হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার রিফাইনারিতে সরবরাহ হয়।

মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম মন্তব্য করেছেন, ‘এখন রাশিয়ান তেল কেনা মূলত হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার ওপর নির্ভর করছে।

রুশ জ্বালানি সরবরাহ থেকে হাঙ্গেরি নিজেদের সরিয়ে নেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ন্যাটো মিত্রদের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার আহ্বান জানানোর পরও এ অবস্থান স্পষ্ট করল বুদাপেস্ট। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিজিয়ার্তো বলেন, ‘রাশিয়ার সরবরাহ ছাড়া হাঙ্গেরির জন্য নিরাপদ জ্বালানি নিশ্চিত করা অসম্ভব, কারণ বিকল্প অবকাঠামো নেই।’

হাঙ্গেরির রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি মল গ্রুপ প্রতিবছর প্রায় ৫০ লাখ টন জ্বালানী তেল আমদানি করে। ড্রুজবা পাইপলাইনের মাধ্যমে যা হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার রিফাইনারিতে সরবরাহ হয়। এ দুই দেশই রাশিয়ান জ্বালানি আমদানি বন্ধের আহ্বানে সবচেয়ে বেশি অনীহা দেখিয়েছে।

ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে পাইপলাইন জ্বালানী তেল আমদানির ওপর বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ আরোপের চিন্তা করছে, যেখানে বুদাপেস্ট ও ব্রাতিস্লাভার আপত্তি উপেক্ষা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

ট্রাম্প গত সপ্তাহে তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছিলেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা নিতে প্রস্তুত তখনই, যখন সব ন্যাটো সদস্য রাশিয়া থেকে জ্বালানী তেল কেনা বন্ধ করবে। ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মস্কোর প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য ট্রাম্প একাধিক সময়সীমা বেঁধে দিলেও তা কার্যকর হয়নি বলে কিছু মিত্র প্রশ্ন তুলেছে, ট্রাম্প সত্যিই কি পুতিনের ওপর চাপ বাড়াতে চান, নাকি দায় ইউরোপের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।

সম্পর্কিত খবর