বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে ২৪ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জনগণের পক্ষে, বিশ্বের পক্ষে, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সর্বোপরি আরও শান্তিপূর্ণ টেকসই বিশ্বের’ ধারণার প্রচারে বাংলাদেশ গর্বিত। যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।
ড. মোমেন আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ বিশ্বের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জনগণের ক্ষমতায়নের ধারণা: একটি শান্তিকেন্দ্রিক উন্নয়ন মডেল’ প্রচার করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ধারণাটি ২০১২ সালে জাতিসংঘে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছিল। এই ধারণার মূল কথা হচ্ছে- বিশ্ববাসী আগামীতে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে এবং কার্যকরভাবে এর মোকাবিলা করতেও সক্ষম হবে।
মন্ত্রী বলেন, এই সক্ষমতা অর্জনে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা প্রয়েজন। পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়নের জন্য ৬টি বিষয় সনাক্ত করা হয়েছে এতে। এগুলো হচ্ছে- দারিদ্র্য ও ক্ষুধার অবসান, বঞ্চিত বা সুবিধাবঞ্চিতদের উন্নয়ন কাজে অন্তর্ভুক্ত করা, মানসম্মত শিক্ষা, নতুন প্রযুক্তি, উন্নত দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান, লাভজনক কর্মসংস্থান, সুশাসনে অংশ নেওয়ার অধিকার নিশ্চিত এবং সন্ত্রাস ও চরমপন্থার অবসান।
তিনি বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারে গত দুই যুগে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ এখন এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১৩তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্যগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বর্তমানে অবস্থান ৪১ তম। আগামী ১৫ বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭ শতাংশ থাকবে।
বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে মন্ত্রী তার বক্তব্যে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরে বাংলাদেশে ২৪ শতাংশ এলাকা বনায়নের আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছি।