স্কুল সভাপতির ঘুসিতে ৩ দাঁত ভেঙে গেলো প্রধান শিক্ষকের

বগুড়ার নন্দীগ্রামে সভার নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলার জের ধরে এক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ঘুষিতে আরেক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর (৫৫) তিনটি দাঁত ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর বাজারে ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ওই শিক্ষককে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় কোষাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামীম হোসেন লিটনের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আহত সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম একই উপজেলার কোষাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ওই স্কুলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কমিটির সভাপতি শামীম হোসেন লিটন চার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে উত্তেজিত হন এবং নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর সভা শেষ না হতেই তিনি বিদ্যালয় থেকে চলে যান।

মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তার স্বামী সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর বাজারে গিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামীম হোসেন লিটনের কাপড়ের দোকানে যান। তিনি লিটনের কাছে স্ত্রীর প্রতিষ্ঠানের নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শামীম হোসেন মুখে ঘুষি দিলে দুদুর সামনের তিনটি দাঁত ভেঙে পড়ে যায়। প্রথমে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে শামীম হোসেন লিটন বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। তিনি (দুদু) উত্তেজিত অবস্থায় দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করলে কলাপসিবল গেটে ধাক্কা লেগে তার দাঁত ভেঙে যায়। এখানে আমার কোনও দোষ নেই।’