আগামী বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর থেকে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে যে সব বাঙালি বেতনভোগী হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে এমন ব্যক্তিদের।
রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের জানান, সরকারের হাতে রাজাকারদের তালিকা আসতে শুরু করেছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে যতটুকু আসবে পর্যায়ক্রমে তা প্রকাশ করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং এ বি তাজুল ইসলাম অংশ নেন।
গত ২১ মে ১৯৭১ সালের বেতনভোগী রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ডিসিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াছড়ি, মাগুরা, শেরপুর, গাইবান্ধা ও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোনো বেতনভোগী রাজাকারের নাম পাওয়া যায়নি। তবে চাঁদপুরে ৯ জন, মেহেরপুরে ১৬৯, শরিয়তপুরে ৪৪, বাগেরহাটে ১ জন ও নড়াইলে ৫০ জন রাজাকারের নাম পাওয়া গেছে।
এদিকে, সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য গৃহনির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ২০ কোটি টাকা। এক একটি বাড়ি নির্মাণ করতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন।