ভোর রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, নিহত ৭

কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে ‘রোহিঙ্গাদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে’ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আতঙ্কে বহু রোহিঙ্গা পরিবার ঘর ছেড়ে আশপাশের ক‌্যাম্পে আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় নিয়েছে।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. শিহাব কায়সার খান বলছেন, শুক্রবার ভোর রাত সোয়া ৪টার দিকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে কী নিয়ে এই সংঘর্ষ, সে বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়।

এপিবিএন এর পুলিশ সুপার বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে পরিণত হওয়া কক্সবাজারের এই ক্যাম্পগুলোতে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলোকে ‘রোহিঙ্গা ডাকাত’ বা ‘চোরাকারবারিদের’ কাজ বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

তবে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ খুন হওয়ার পর ক্যাম্পে সক্রিয় বিভিন্ন পক্ষের অনেক বিষয় এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোচনায় আসছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে গুলি করে হত্যা করা হিবুল্লাহকে, যিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

পরিবারের অভিযোগ, প্রত্যাবাসনের পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করা মুহিবুল্লাহকে রোহিঙ্গাদের আরেকটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) হত্যা করেছে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ‘অস্থিরতা’ তৈরির চেষ্টায় ‘মিয়ানমার থেকে বিভিন্নভাবে অস্ত্র আসছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।