বগুড়ার পালশার ড্রাইভার হাসান সরকার (৫০) হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামি হাসানের ভাতিজা রুপম সরকারকে (৩৪) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে রুপম হত্যার দায় স্বীকার করে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে এ ঘটনার অপর আসামি রপমের স্ত্রী খুশী বেগম (২৭) এখনও পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আব্দুর রশিদ।
ইন্সপেক্টর আব্দুর রশিদ জানান, এক চাচাতো বোনের সঙ্গে রুপম সরকারের পরকীয়া প্রেম ছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ বাধে। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও বসে। কিন্তু সালিশ বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকে।
এর জের ধরে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদরের পালশা এলাকায় হাসান সরকারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান রুপম। এতে গুরুতর আহত হলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাসান সরকার মারা যান।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই রুপম ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে গত মঙ্গলবার ঢাকার টিকাটুলিতে অভিযান চালিয়ে রুপমকে গ্রেফতার করে বগুড়ায় আনা হয়।