বুধবার থেকে নিখোঁজ হায়দরাবাদের পশু চিকিত্সকের খোঁজ মিলল। তাঁর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অনুমান, খুনের আগে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ গভীর রাতে এক লরিচালক ও এক খালাসিকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা নাগাদ মেয়েটির দেহ দেখতে পান দুধের ভেন্ডর এস সত্যম। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। একে খুনের ঘটনা বলে জানিয়ে সাইবেরাদাবাদ পুলিশ নিখোঁজ ডায়েরিগুলি খতিয়ে দেখে। পরিবারকে ডেকে পাঠানো হলে সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া দেহের স্কার্ফ ও মৃতার গলায় গণেশের লকেট দেখে দেহ শনাক্ত করেন আত্মীয়-স্বজনেরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বাইকটি কোথুর থেকে পাওয়া গিয়েছে, তবে তাঁর পার্স ও মোবাইলের হদিশ মেলেনি। তবে বাইকের নম্বর প্লেটটি পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, দেহ যেখান থেকে মিলেছে, সেই টোল প্লাজা থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে কোথুরে বাইক চালিয়ে ফেলে আসার সময় নম্বর প্লেটটি খুলে রাখে অভিযুক্ত।
বিকেল ৫.৩০-এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ত্বকের ডাক্তারকে দেখাতে গিয়েছিলেন ওই যুবতী। শামশাবাদের একটি টোল প্লাজায় নিজের বাইকটি রেখে একটি ক্যাবে চড়ে সেই হাসপাতালে যান তিনি। জানা গিয়েছে, কিছুক্ষণ পর ফিরে টোল প্লাজা থেকে বাইক নেওয়ার সময় তাঁকে দু জন বলেন বাইকের চাকাটি পাংচার হয়ে গিয়েছে। সারানোর জন্য কাছেরই একটি দোকানে নিয়ে যেতে হবে। সেই সময় কয়েক মিটার হেঁটে একটি নির্জন জায়গায় দাঁড়িয়ে মেয়েটি অপেক্ষা করতে থাকেন। সেখানে বেশ কয়েকটি ট্রাক পার্ক করা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মৃতার বোন জানিয়েছেন, ‘৯.২২-এ বোন ফোন করেছিল। ও বলে দু জন টায়ার সারিয়ে দেবে বললেও না-সারিয়েই ফিরে এল। কাছেই কয়েকটি লরি নিয়ে বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়েছিল বলে ও জানায়। ও বলে খুব ভয় পাচ্ছে। আমি ওকে বাইক রেখে দিয়েই চলে আসতে বলি।’
এরপর মৃতার বোন ৯.৪৪-এ ফের ফোন করার চেষ্টা করলে শোনা যায় ফোন স্যুইচড অফ। রাতে বোন বাড়ি না-ফেরায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। কখন কীভাবে মেয়েটিকে খুন করা হল, তা নিয়ে পুলিশ এখনও সন্দিহান।
পুলিশের অনুমান, ওই পশু চিকিত্সককে ধর্ষণ করে খুন করে তাঁর দেহ একটি ব্যাগে ভরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে ১০টি দল তৈরি করেছে পুলিশ।