অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। টিভি পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও দেখিয়েছেন দক্ষতার পরিচয়। কাজ করেছেন ‘মনপুরা’, ‘হালদা’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘দহন’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে। সম্প্রতি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৭’-এর শ্রেষ্ঠ কৌতুক চরিত্রে মনোনীত হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ফজলুর রহমান বাবু
শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন আপনি। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। আপনি কীভাবে দেখছেন?
বিষয়টি নিয়ে কদিন ধরেই বেশ আলোচনা শুনছি। অনেকে জুরিবোর্ডকে দোষারোপ করছে। এখানে জুরিবোর্ডের কোনো দোষ নেই। কারণ পুরস্কারের জন্য ক্যাটাগরি নির্বাচন করে দেয় ছবির পরিচালক। এ ছবির পরিচালক বদরুল আনাম সৌদ সব ক্যাটাগরিতে একজন করে অভিনেতার নাম দিয়েছেন। এখানে তিনি আমার নামটি কৌতুক চরিত্রে পাঠিয়েছেন, কৌতুক অভিনেতা হিসেবে নয়। আমরা তো জুরিবোর্ডকে দোষ দিতে পারি না। ভুল হলে হয়েছে পরিচালকের।
কৌতুক অভিনেতা আর কৌতুক চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য আসলে কী?
যারা লেখালেখি করে তারা বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি অনেককেই দেখেছি, তারা লিখেছেন শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা। আসলে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা আর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। কৌতুক অভিনয়টি কি খুবই নিম্নমানের অভিনয়? কৌতুক অভিনয়টি যদি নিম্নমানের না হয়, তবে এটি নিয়ে আমার আক্ষেপ থাকবে কেন? কৌতুক চরিত্র বলতে আমরা সাধারণত যেটি বুঝি, আগের যে ফরম্যাটেড ফিল্মে আছে। সেটিকে আমরা কৌতুক চরিত্র না বলে ভাড়ামি বলতে পারি। আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছি, সেটি ওই অর্থে কৌতুক চরিত্র না। কিন্তু এটি অনেক রসালো ছিল। আগের ফিল্মগুলোর মতো না। সেই কারণে পরিচালক হয়তো মনে করেছে, এটি এই ক্যাটাগরিতে যায়।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন। শুনতে চাই অনুভূতির কথা…
যে কোনো পুরস্কার বা সম্মানই আনন্দের। আর প্রতিটি পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি প্রথমবারের মতোই হয়। অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলাম ২০০৪ সালে। ‘শঙ্খনাদ’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। প্রতিবারই নিজের মধ্যে একই রকম আনন্দ কাজ করেছে।