প্রশ্ন গয়েশ্বরের
খালেদা জিয়ার জন্য কি কিছু করার নেই?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার হীরক রাজার কাহিনীকেও হার মানিয়েছে। এই রাষ্ট্র এখন রাষ্ট্র নাই। সব ধ্বংস করে ফেলেছে এই সরকার।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যে যেমন পারছে, লুটেপুটে খাচ্ছে। আমরা সবাই জানি পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে, কিন্তু এই সরকারের আমলে তার বিপরীত দেখতে পাচ্ছি। কৃষক ধান উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারছে না। ধানক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, দাম পাচ্ছে না। অথচ চাল কিনতে গেলে পকেট খালি হয়ে যাচ্ছে। সকালে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, বিকেলে লবণের দাম বাড়ছে। শেখ হাসিনার সরকার হীরক রাজার কাহিনীকেও হার মানিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, যে রাষ্ট্রে গণতন্ত্র থাকে না তাকে রাষ্ট্র বলা চলে না। গণতন্ত্র অর্জন করার জন্য যিনি লড়াই করেছেন, যুদ্ধ করেছেন, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখে এই সরকার গণতন্ত্র প্রচার করছেন, এটা ঠিক না। দেশের প্রতিটি খাতে দুর্নীতি চলছে। সরকার দলীয় যে নেতাদের নাম কখনো শুনিনি, সেই নেতাদের হাড়ি থেকে বের হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তাহলে এমপি-মন্ত্রীদের পকেটে কত টাকা আছে? আমরা এই সরকারের পতন চাই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা সবাই কথার ফুলঝুরি দিয়ে নেতাদের খুশি করতে চাই। বেগম জিয়া আমাদের নেত্রী, তিনি কারাগারে গেলেন আর সেদিন আমরা কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে গেলাম না তাহলে আমরা তাঁকে নেত্রী হিসেবে কোন স্থানে রাখলাম?

তিনি বলেন, আমরা কেউ মৃত্যু থেকে বাঁচতে পারব না। কখন কার মৃত্যু হবে তা সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন। তাই আসুন জেলের ভয় না পেয়ে একাত্তরের মতো ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলন করি। বেগম জিয়াকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করি। এটাই হবে তাঁর জন্য সম্মানের মুক্তি।

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এ নেতা বলেন, ‘আমরা নেতা হওয়ার পেছনে যার অবদান তাঁর জন্য কি আমাদের কিছু করার নেই? যদি থাকে তাহলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা যারা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, এটা হচ্ছে আমাদের অপরাধ।’ তিনি বলেন, আমাদের ইস্যু হচ্ছে গণতন্ত্রের মুক্তি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই দুটি দিক যদি আমরা ঠিক করতে পারি তাহলেই সফল হবো। এজন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, এই সরকারকে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে। সরকার যেই ঋণ করেছে যাওয়ার পর এই ঋণের বোঝা জনগণের মাথার ওপরে ভর করবে। এই সরকার যাওয়ার পর যারা সরকার গঠন করবে তাদের দেশ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।