কুখ্যাত সিরিয়ার ট্যাডমোর কারাগার

মুরাদ খান:

ট্যাডমোর কারাগার সিরিয়া। গুয়ান্তানামো বের পর যদি সবচেয়ে কুখ্যাত কোন কারগার থাকে সেটা হল সিরিয়ার ট্যাডমোর কারাগার।
বিশ্বের ২য় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও খারাপ কারাগার মনে করা হয় সিরিয়ার ট্যাডমোর কারাগারকে।

এটি সিরিয়ার হোমসে অবস্থিত ট্যাডমোর মিলিটারি বন্দীশালাকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারী বন্দীশালা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। সিরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মরুভূমিতে এ কারাগারটি অবস্থিত।

১৯৮০ সালের দিকে একবার সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এই অভিযোগে দুই সপ্তাহের ভিতরে প্রায় ১৪ হাজার অভিযুক্তকে জনকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়।

এরপর থেকেই এই কারাগারটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নরকতুল্য স্থানে পরিণত হয়। কঠোর শর্ত, অমানবিক নির্যাতন, রক্ষীদের কাছ থেকে বিরূপ আচরণসহ নানা কারণে এখানে প্রায় প্রতিদিনই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে বিশ্ব মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় খবর বেরিয়েছে।

শুধু তাই নয়, এ কারাগারের বন্দীদের যে খাবার দেওয়া হয়, তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্টমানের খাবার মনে করা হয়। এমনকি পান করার জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পর্যন্ত দেয়া হয় না।

এই কারাগার সম্পর্কে আরেকটি ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে, এখানকার কারারক্ষীরা কেবল নির্মমই নন, কখনো কখনো তারা পিশাচও হয়ে ওঠেন। এখানকার রক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এরা বন্দীদের হত্যা করে তারপর তাদের কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে। লাশ গুম করার জন্য কারাগারে আছে বিশেষ চুল্লী সেখানে লাশ পুরিয়ে ফেলা হয়। ২০১৭ সালে লাশ পুরিয়ে ফেলার অভিযোগ তোলা হলে সিরিয়া সরকার তা অস্বীকার করে। কারাগারে ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩০ গুনের বেশী মানুষ রাখা হয়।

২০০৬ সালে এই কারাগারের একটি ছবি রয়টার্স প্রকাশ করে যা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলে। সেখানে দেখা যায় খুব অল্প জায়গায় অনেক মানুষ গাদাগাদি করে আছে তাদের সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পর্যন্ত জায়গা ছিলোনা। ‍

‎- World Military News In Bangla -WMNB