বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের (পানি, জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, বন্দর, রেল প্রভৃতি) উন্নয়নের জন্য ২০১৬-২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ সময়ের মধ্যে উল্লিখিত খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে ৪১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। ফলে দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে প্রায় ১৯ হাজার ২০০ কোটি ডলারের ঘাটতি রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সাক্ষাত্কালে এমন তথ্য উঠে আসে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন।
সাক্ষাত্কালে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা গতিশীল রাখতে কার্যকর পুঁজিবাজারের কোনো বিকল্প নেই। তিনি উল্লেখ করেন, ‘গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার হাব’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের জন্য ২০১৬-২০৪০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬০৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনুযায়ী ১৯২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘাটতি রয়েছে। অবকাঠামো খাতে এ অর্থায়ন ঘাটতি কমাতে দেশের পুঁজিবাজার অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় ডিএসই প্রবর্তিত ‘এসএমই বোর্ড’কে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে ডিএসইর এসএমই প্লাটফর্মে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং এসএমই বোর্ডে নিবন্ধিত উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করপোরেট কর সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেটকে আরো কার্যকর করতে এর অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্ড চালুকরণ প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বন্ড চালুকারী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ কর ছাড় এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি দ্বারা রেটিং ব্যবস্থার প্রবর্তন জরুরি বলে মত দেন তিনি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং তুলে ধরার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি দেশে রোড শো আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতকে আরো এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।