দেশপ্রেমিক জনতার হুশ ফিরবে কবে?

 

ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী র‌্যান্ডল শ্রাইভার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ পরস্পরের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও নিবিড় করতে চায়। দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে পরের ধাপে নিতে যুক্তরাষ্ট্র মৌলিক দুই প্রতিরক্ষা চুক্তি আকসা ও জিসোমিয়া সইসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করছে। ঢাকা সফরে এসে এ বিষয়ে আলোচনায় কতটা অগ্রগতি হলো, তা নিয়ে সে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে।

কিন্তু আপনারা কি জানেন, এই চুক্তির ভয়াবহতা কি। নিরাপত্তা সহযোগিতার নামে আকসা ও জিসোমিয়া নামক দু’টি চুক্তির কথা প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে তার সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাইছে। ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে বাংলদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক এলাকা। ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির বিষয়ে জোরদার করার কথা বলে এই অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারলে ভবিষ্যতে তা বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

সন্ত্রাসবাদ দমনের ঠুনকো অজুহাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুনিয়ার দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চালিয়েছে। ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া তার সাম্প্রতিক উদাহরণ। ফলে যেখানে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা প্রবেশ করেছে সেখানেই মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। জনগণের ঐক্যে বিভক্তি ধরিয়ে তার সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ-চরিতার্থ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে যেকোনো উপায়ে প্রবেশ করতে চাইছে, যা ভবিষ্যতে সামরিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। তাই এমন কিছু ঘটার আগেই এ দেশের জনগণকে এ চুক্তির প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

 

ফেসবুক: লিখেছেন ড. তুহিন মালিক