সোমবার থেকে শুরু ইসরাইলি পণবন্দীদের হস্তান্তর

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের শর্ত অনুসারে গাজা থেকে পণবন্দীদের ফেরত দেয়ার পর ইসরাইল তার কারাগারে আটক প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে।
ইসরাইলি পণবন্দীদের আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে মুক্তি দেয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা (১১ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক ৪৮ জন পণবন্দীর মুক্তি সোমবার সকাল থেকে শুরু হবে। পণবন্দীদের বেশিভাগই ইসরাইলি।
হামাসের কর্মকর্তা ওসামা হামদান এএফপির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া সোমবার সকাল থেকে শুরু হবে। এ বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। এখন পর্যন্ত পণবন্দীদের হস্তান্তরের বিষয়ে গাজায় হামাসের যোদ্ধারা তাদের নেতৃত্বকে প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করেনি।’
মার্কিন মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের শর্ত অনুসারে গাজা থেকে পণবন্দীদের ফেরত দেয়ার পর ইসরাইল তার কারাগারে আটক প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে।
হামদান বলেন, ‘মুক্তির জন্য নির্ধারিত ফিলিস্তিনি বন্দীদের তালিকা এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। ইসরাইল এখনো কিছু নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে আমাদের আলোচনাকারী দল তাদের মুক্তির জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
হামদান আরো উল্লেখ করেন, চুক্তির অধীনে মানবিক সাহায্যের জন্য পাঁচটি প্রবেশপথ খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা ও মিসরের মধ্যে রাফাহ ক্রসিং ‘আগামী বুধবার থেকে উভয় দিকের ব্যক্তিদের জন্য’ পুনরায় খুলে দেয়া হবে।
এদিকে ইতালি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পর্যবেক্ষণ মিশনের তত্ত্বাবধানে পুনরায় চালু হবে। সে সময় ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের পুলিশ উপস্থিত থাকবে।