মওদুদের শূন্যস্থান পূরণে ফখরুলকে চায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা

নোয়াখালী-৫ আসনে প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের অবর্তমানে এমপি হিসেবে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও শিল্পপতি মো. ফখরুল ইসলামকে চায় স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন ফখরুল ইসলাম। তিনি পাড়া-মহল্লায় গিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংগঠিত ও উজ্জীবিত করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ফখরুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির দুই নেতা সপরিবারে আক্রান্ত হন।
পরে ২০০৯ সালে ফখরুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট থেকে মনোনয়ন দেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। নির্বাচনের প্রথম দুই ঘণ্টায় তিনি প্রায় ৪৭ হাজার ভোট পান। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্র দখলের কারণে তার নিশ্চিত বিজয় হারিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছেন মো. ফখরুল ইসলাম। জেল-জুলুম, অত্যাচারসহ নানা ঘাত-প্রতিঘাত সত্ত্বেও তিনি মাঠপর্যায়ে সংগঠন ধরে রেখেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু বলেন, “বিগত ১৬ বছরে ফখরুল ইসলামই নিয়মিতভাবে কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটের বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছেন। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর পর থেকেই আমরা তাঁকেই আশা হিসেবে দেখছি।”
উপজেলা বিএনপির সাবেক আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বলেন, “বর্তমানে ফখরুল ইসলামের জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাঁকে মনোনয়ন না দিলে বিএনপি এই আসন জামায়াতের কাছে হারাতে পারে। আমরা চাই, ধানের শীষ প্রতীকে এখান থেকে তিনি নির্বাচনে অংশ নিন।”
কবিরহাটের বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম বলেন, “দলের স্বার্থে এবং সংগঠনের স্থিতির জন্য মো. ফখরুল ইসলামকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া উচিত। তিনি যেভাবে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বিএনপিকে সংগঠিত রেখেছেন, তা অন্য কারও পক্ষে সম্ভব নয়।”
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, “দলের কার্যক্রম ও সাংগঠনিক অবস্থার মূল্যায়ন করে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক খুব শিগগিরই নোয়াখালীর বিভিন্ন