প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

অনলাইন নিউজ পোর্টাল অর্থ বাংলায় ৪ সেপ্টেম্বর ‘সততার মুখোশে ভয়ংকর খালেক’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও মো: আব্দুল খালেক মিয়া। ওই প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি দাবী করেন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের উল্লেখিত সংবাদটি ‘মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।’
প্রতিবাদলিপিতে এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন-
১। সংবাদটির শিরোনাম করা হয়েছে, ‘সততার মুখোশে ভয়ংকর খালেক।’ অথচ আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, নৈতিকস্খলন বা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে দেশের কোনো নিয়ন্ত্রণ সংস্থা, আদালত আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে নাই। ফলে শুধুমাত্র কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অভিযোগ যাচাই-বাছাই না করে আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার পরিপন্থী।
তাই আপনার লিখিত শিরোনাম মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর। আপনি আমার পেশাগত, আর্থিক, সামাজিক ও পারিবাকিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে উল্লেখিত শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
২। সংবাদটি প্রথমাংশে যেসব বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা মূলত মনগড়া গল্প। এখানে অনিয়ম-দুর্নীতির সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এই অংশে উল্লেখ করা হয়েছে, “অপরাধে জড়িয়ে সোনার বাংলার পর ইসলামী ইস্যুরেন্স থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। এই বক্তব্য মনগড়া ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। এর কারণ-
ক। সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে ১৯/০৫/২০১৬ থেকে ১২/০৭/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন হয়নি, এমনকি আমি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী পদের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর আমাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।
খ। সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে দায়িত্বপালনকালে আমার কর্মকান্ড যাচাই-বাচাই করেই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আমার ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডে নিয়োগ প্রদান করে।
তাই আমি কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে আমি কোনো অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদন পেতাম না।
ফলে আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটিতে আমি অপরাধে জড়িত থাকার কারণে আমাকে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড থেকে বিতারিত হয়েছি এমন তথ্য ভিত্তিহীন, নিখ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর।
৩। সংবাদটিতে একই অভিযোগ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে- সোনার বাংলায় অনিয়ম ও আত্মসাৎ” শিরোনামের একটি অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির ও সাবেক মেয়র খোকনসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থেকে দুই কোম্পানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।”
সংবাদের এই অংশে আরো বলা হয়েছে,
“এই সিইও সোনার বাংলায় কোন নিয়ম কানুনের তোয়াজা করতেন না। একদিকে ভয় অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানে গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব তৈরি করে বীমা আইন লঙ্ঘন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনার বাংলা থেকে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। একইসঙ্গে অতিরিক্ত কমিশন, বাকি ব্যবসা, ডামি নিয়োগ আর ভুয়া ক্লেইম সেটেলমেন্টের মাধ্যমে এই সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠানকে করেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। লোকাল সার্ভিস অফিসের ইনচার্জ হতে শুরু করে সিইও- প্রতিটি কাজে অনিয়ম ও লুটপাট ছিল ওপেন সিক্রেট। ডকুমেন্ট টেম্পারিং, জালিয়াতি, অতিরিক্ত কমিশন এবং বাকি ব্যবসা করে ৫ থেকে ৭ কোট টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও বাকি ব্যবসার বেশ কিছু টাকা-এখনো কোম্পানিতে জমা হয়নি।’
আপনার প্রকাশিত সংবাদের উল্লেখিত বক্তব্য সঠিক নয়। সংবাদটির উল্লেখিত বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর। এর কারণ-
ক। আমি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে ১৯/০৫/২০১৬ থেকে ১২/০৭/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। এ সময়ে কোম্পানির প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি পায়, বিনিয়োগ ও সম্পন বৃদ্ধি পায়। কোম্পানি শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ট প্রদান করে। যা সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
খ। আমি সোনার বাংলায় দায়িত্বপালনকালিন সময়ে, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম বা দুর্নীতির কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয় নাই। অথচ প্রতিবছরই আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ থেকে বিশেষ নিরীক্ষাও করা হয়েছে।
ফলে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছি কোনো সুস্পষ্ট তথ্য ছাড়া এমন তথ্য সংবাদটিতে তুলে ধরার উদ্দেশ্যমূলক। মূলত এসব তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ধরনের মিথ্যা তথ্য আমার জন্য মানহানিকর। এটা স্পষ্ট যে, আমাকে পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য আপনি পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট ও মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে তা প্রকাশ করেছেন। যা বস্তুনিষ্ট সংবাদের পরিপন্থী, প্রচলিত আইন বিরোধী ও ফৌজদারি অপরাধ।
৪। সংবাদটিতে একই অভিযোগ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে- সোনার বাংলায় অনিয়ন ও আত্মসাৎ” শিরোনামের শেষ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-
“ধীরে ধীরে অনিয়মই যেন নিয়ন হয়ে দাঁড়ায় খালেকের ক্ষেত্রে। বেপরোয়া খালেক আইডিআরএর সিইও নিয়োগের শর্তাবলি ভঙ্গ করে সোনার বাংলায় দুইটি গাড়ি ব্যবহার করেছেন। আর দু’টি গাড়ির সমস্ত খরচ কোম্পানি থেকে নিতেন। বেতনের বাইরে ও আপত্তিকর সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। পরিচালনা পর্ষদের অগাধ বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতিষ্ঠান জুড়ে একক আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাড়ি-বাড়ি সবকিছু করেন।’
সংবাদটিতে উল্লেখিত তথ্য বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। এর কারণ-
ক। আমি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে ১৯/০৫/২০১৬ থেকে ১২/০৭/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত ৬ দায়িত্ব পালন করেছি।
আমাকে দুই দফায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। আমি নিয়োগ পত্রের শর্তের বাইরে কোনো অনৈতিকভাবে কোনো প্রকার আর্থিক ও অন্য কোনো সুবিধা গ্রহণ করেছি এমন কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয় নাই। এমনকি নিরিক্ষা প্রতিবেদন বা নিয়ন্ত্রণক সংস্থার বিশেষ নিরিক্ষা প্রতিবেদনেও এ ধরণের কোনো প্রমাণ উপস্থাপিত হয় নাই।
ফলে আপনার প্রতিবেদনের উল্লেখিত তথ্য সঠিক নয়।
আপনি আর্থিক বা অন্য কোনোভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে মনগড়া, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনটি তৈরি করে তা প্রকাশ করেছেন এবং অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। যা দেশের সাইবার অধ্যাদেশ আইন অনুসারে অপরাধ।
সেই সাথে এ ধরনের মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আপনি আমার পেশাগত মর্যাদা ক্ষুদ্র করেছেন। যা আমার পরবর্তী পেশাগত দায়িত্ব পালনকে বাধা গ্রস্ত করবে। আপনার এ ধরনের কর্মকান্ড আমাকে পেশাগত দায়িত্বপালনে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে যা আমার জীবন জীবিকার জন্য হুমকী। যার দায়ভার আপনাকেই বহন করতে হবে।
৫। সংবাদটিতে “ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট কেলেঙ্কারি শিরোনামের অংশে বলা হয়েছে,
“সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মাদার কোম্পানি সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স। খালেক সোনার বাংলা সিইও পদের পাশাপাশি সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন। অনিয়ম, দুর্নীতি
ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেক ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে আইনি নোটিশ পাঠায় সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। গত ২৫ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এস এম কবির খান পাঠানো নোটিশে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসাৎকৃত অর্থ কোম্পানির হিসাবে জমার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। অন্যথায় মামলা দায়েরসহ পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
সোনার বাংলা সূত্র জানিয়েছে, খালেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীর্তি ধরা পড়লে ২০২২ সালে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সামাজিক কারণে কোম্পানি থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তবে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের টাকা নিয়ে আইনি নোটিশে বেঁধে দেয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জমা দেয়নি খালেক। তার বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ।’
সংবাদটির উল্লেখিত তথ্য সঠিক নয়। এর কারণ,
ক। আমার বিরুদ্ধে সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টর উকিল নোটিশের জবাব আমি যথাসময়ে দাখিল করেছি।
খ। সামাজিক কারণে ছাড়পত্র দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনার এই তথ্য সঠিক নয়।
গ। সোনার বাংলা ক্যপিটাল ম্যানেজমেন্ট অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই আমাকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দফায় দফায় চিঠি ও নোটিশ প্রদান করে। আনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এসব চিঠি যথাযথ জবাব দিয়েছি। যা নিম্নরূপ-
১) আমি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে ১৯/০৫/২০১৬ থেকে ১২/০৭/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন হ্যানি, এমনকি আমি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী পথের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর আমাকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। এ সময়ে আমার বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হ্যা নাই। ফলে ৪/৫ বছর পর আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
২) সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট মূলত সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এই হিসেবে আমার বিরুদ্ধে এর আগে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিসিইসি) থেকে আমার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয় নাই। ফলে আপনাদের উপরোক্ত অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
৩) আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে ৪৩টি চেকের মাধ্যমে ২,৩৯,৭৭,০০০/= (দুই কোট উনচল্লিশ লাখ সাতাতুর হাজার টাকা) চেকের মাধ্যমে নগদ তুলে আত্মাসাৎ করা হয়েছে। অথচ ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়ে সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডে পরিচালিত কোনো নিরীক্ষা, এমনকি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষাতেও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয় নাই। ফলে আপনার উপরোল্লেখিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গত ৭ বছর পূর্বের ঘটনা এখন উত্থাপিত হওয়া বা করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও পরিকল্পিত অপরাধ।
৪) পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারেই আমি সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের একজন সিগনেটরি। এটা আমার কোনো একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। ফলে আমার চেকে স্বাক্ষর করার বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন। সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড একটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এখানে এমডি-সিএফও ছিলেন, তারাই ফাইলপত্র তৈরি করেছেন। এক্ষেত্রে আমার কাছে এসব ফাইল এসেছে শুধুমাত্র আমার স্বাক্ষর নেয়ার জন্য, এ ব্যাপারে আমার কোন দায় নেই।
৫) আমার একক স্বাক্ষরে কোনো লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেননা আমি এককভাবে সিগনেটরি ছিলাম না।
৬) আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো লেনদেন বা অর্থ পরিশোধের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নোট উত্থাপন করা হয়। যা পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের অডিট বিভাগ যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়ার পর হিসাব বিভাগে পাঠানো হয়। হিসাব বিভাগ লেনদেন সংক্রান্ত নোটসহ চেক স্বাক্ষর করে নেয়। ফলে আমার একক স্বাক্ষরে অনুমোদন ছাড়া কোনো লেনদেন হওয়ার সুযোগ নেই বা ছিল না।
৭) আমি নিজে বা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্য কোনো চেক স্বাক্ষর করি নাই।
ফলে সংবাদটির “ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট কেলেঙ্কারি” শিরোনামের অংশে যে সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা সঠিক নয়।
মূলত আপনি সংবাদটি উল্লেখিত তথ্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়ারা না করে মড়গড়াভাবে প্রতিবেদন তৈরি করে তা প্রচার ও প্রকাশ করে অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। যা সাইবার অধ্যাদেশের অপরাধ ও দন্ড শীর্ষক ২৯ ধারা, পেনাল কোড ৪১৯ ধারার অপরাধ।
৬। সংবাদটিতে ‘সাত অভিযোগে বিচার দাবি “শিরোনামের অংশে যে সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা সঠিক নয়। এ ধরণের ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার মানহানিকর।
এর কারণ নিয়ে তুলে ধরা হলো
সংবাদের একটি অংশে বলা হয়েছে- “সোনার বাংলার পর আব্দুল খালেক মিয়া অপর এক সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স যোগদান করেন। সেখানে গিয়েও নানা বির্তকে জড়িয়ে পড়েন। সিইও অনুমোদনের আগেই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার কর্মকান্ডে ফুঁসে উঠো
সংবাদটির উল্লেখিত তথ্য সঠিক নয়। এর কারণ-
ক। আমাকে চাকরির অবসান করে বেআইনিভাবে পত্র প্রদান করা হয় ২০/০৮/২০২৫ ইং তারিখে। চাকরির অবসানের ওই পত্রে আমার চুক্তি পত্রের ১০ নং শর্ত অনুসারে চাকরির অবসান করা হয়। এর বাইরে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তোলা হয় নাই।
ফলে আপনার প্রকাশিত সংবাদের উল্লিখিত তথ্য সঠিক নয়। যা নিখ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সংবাদটির এই অংশে সাতট অভিযোগ তুলে ধরা হয় যা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। নিয়ে প্রতিটি অভিযোগ সম্পর্কে আমার বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
অভিযোগ ১:
“আব্দুল খালেক মিয়া কথায় কথায় কর্মীদের ছাঁটাই করার হুমকি দিচ্ছেন। যা শ্রম, বিমা ও সরকারি আইনের পরিপন্থি। এতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানসিকভাবে বিপর্যন্ত ও অতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অফিসের দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে।”
ক। সংবাদের উল্লেখিত তথ্য সঠিক নয়। কারণ-
আমি কোনো কর্মকর্তাকে অবৈধভাবে ছাটাই করিনি। মূলত কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগ ও ছাঁটাই করা হয় পরিচালনা পর্যদের সিদ্ধান্ত অনুসারে। মুখ্য নির্বাহীর একক সিদ্ধান্তে কোনো কর্মকর্তা কর্মচারিকে ছাটাই বা চাকরিচ্যুত করার সুযোগ নেই।
ফলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে বা পরিচালনা পর্ষদের কাছে এ ধরণের কোনো অভিযোগ করে থাকলে তার কোনো ভিত্তি নেই। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা থেকে এ ধরণের অভিযোগের বিষয়ে আমার নিকট কোনো ব্যাখ্যাও চাওয়া হয় নাই।
তাই মড়গড়া অভিযোগ বা কোনো তথ্যের সঠিকতা যাচাই না করে। শুধু বানোয়াট মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করে আপনি সাংবাদিকতার নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন একই সাথে দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করেছন।
অভিযোগ ২:কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং কথায় কথায় খারাপ ভাষা প্রয়োগ করেন যা ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল।
আপনার উল্লিখত তথ্য সঠিক নয়। কোনো কর্মকর্তা লিখিতভাবে বা মৌখিকভাবে কোনো অভিযোগ করেনি। মূলত এ ধরণের তথ্য মনগড়া।
তাই এ ধরণের তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। ফলে সঠিকতা যাচাই না করে সংবাদে এ ধরনের তথা প্রকাশ ও প্রচার উদ্দেশ্য মুলক। ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।
অভিযোগ ৩.
“শ্রম, বিমা ও সরকারি আইন অমান্য করে সবার জন্য কর্মঘন্টা বৃদ্ধি করেছেন। সরকারি সার্কুলারে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারিত থাকলেও তিনি কর্মঘন্টা ১ ঘণ্টা বাড়িয়ে ৬টা পর্যন্ত করেছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, এটা মানসিক অত্যাচারের শামিল।’
সংবাদের উল্লিখিত বক্তব্য সঠিক নয়। এর কারণ- অফিস সময় নির্ধারণ করা হয় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে। ফলে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার একক সিদ্ধান্তে অফিস সময় নির্ধারণ করা সুযোগ নেই।
ফলে সংবাদটির উল্লিখিত তথ্য আপনার মনগড়া ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
অভিযোগ ৪.
“কোম্পানি পরিচালনার জন্য সবধরনের আইন অমান্য করে অবৈধ কাজে উৎসাহ দেন।’
সংবাদের উল্লেখিত বক্তব্যও মনগড়া। এর কোনো ভিত্তি নেই।
অভিযোগ-৫.
“আব্দুল খালেক মিয়া ইসলামী ইনস্যুরেন্সে যোগদানের আগে আইডিআরএ’র নিয়ম অনুযায়ী কমিশন প্রদান করা হতো। কিন্তু তিনি যোগদানের পর তার ইচ্ছামতো কমিশন প্রদান করছেন। যা আইডিআরএ’র নিয়ম বহির্ভূত।’
সংবাদের উল্লিখিত বক্তব্য সঠিক নয়। কোম্পানির কোনো লেনদেনের একক সিগনেটরি মুখ্য নির্বাহী নন। মূলত কোম্পানির কমিশন প্রদান, বেতন-ভাতা প্রদান সকল সিদ্ধান্তই পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে থাকে। অপর দিকে আইন লঙ্ঘন করে কমিশন প্রদানের কোনো অভিযোগ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ থেকে তোলা হয় নাই।
ফলে আপনি মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদটি প্রকাশ করেছেন। যা সাংবাদিকতার নীতিমালা ও প্রচলিত আইন বিরোধী।
অভিযোগ-৬,
“তার পূর্ববর্তী কর্মস্থল সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স থেকে দুর্নীতির দায়ে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।”
সংবাদের উল্লিখিত তথ্য সঠিক নয়। এর কারণ- সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড থেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আমি মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ থেকে নিয়ম অনুসারে গত ১২/০৭/২০২২ তারিখে পদত্যাগ করি। সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড আইন ও যথাযথ নিয়ম অনুসারেই আমাকে ছাড়পত্র প্রদান করে।
ফলে কোনো রূপ তথ্য যাচাই-বাছাই না করে আপনি ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ মানহানিকর।
অভিযোগ ৭.
“আব্দুল খালেক নিয়া সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে ১৬ কোট টাকা বাকি ব্যবসা করেছেন। এরপর ইসলামী ইনস্যুরেন্সে যোগদান করে প্রায় ২ কোটি টাকা বাকি ব্যবসা করেছেন। যা আইডিআরএর নিয়ম-শৃঙ্খলার পরিপন্থি।
সংবাদের উল্লিখিত তথ্য সঠিক নয়। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা থেকে আমার বিরুদ্ধে বাকি ব্যবসা করা কোনো অভিযোগ তোলা হয় নাই। অপর দিকে কোম্পানির প্রিমিয়াম আয় করে কোম্পানির নিয়োগ প্রাপ্ত উন্নয়ন কর্মকর্তা ও এজন্টরা। আইন অনুসানে মুখ্য নির্বাহী বীমা ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। ফলে বাকি ব্যবসা করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন ও মনগড়া।
ফলে মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ প্রচলিত আইন বিরোধী। সাংবাদিকতা নীতিমালা পরিপন্থী।
৬। সংবাদটির ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ “শিরোনামের অংশের মূলত পূর্বের তথ্যগুলোই পুনরায় তুলে ধরা হয়েছে। যা মূলত মানহানিকর। নিখ্য তথ্য তুলে ধরার অপকৌশল।
৭। সংবাদটিতে ‘ইসলামী ইন্স্যুরেন্স থেকে অপসারণ” নীরোনামে অংশে বলা হয়েছে-
“অবশেষে আর্থিক কেলেঙ্কারী ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স থেকে অপসারণ করা হয় বিতর্কিত সিইও আব্দুল খালেক নিয়াকে। কোম্পানির পরিচালনা পর্যদের ২৪৮ তম সভায় তাকে চাকরি থেকে অবসানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০ আগস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি আব্দুল খালেক মিয়াকে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার নিয়োগ চুক্তি পত্রের ১০ নং শর্তের আলোকে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ২৪৮ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এতদ্বারা কোম্পানিতে আপনার চাকুরি অবসান করা হলো।
সংবাদের এই অংশের শিরোনামটি মিথ্যা। আমাকে পেশাগত ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্য ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য নিখ্যা শিরোনাম করা হয়েছে। এর কারন-
ক। ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড আমাকে গত ২০/০৮/২০১৫ তারিখে চাকরির অবসান করে পত্র প্রদান করে। মূলত আমাকে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স থেকে অপসারণ করে পত্র দেয়া হয় নাই।
খ। কোন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয় আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির কারণে। অপরদিকে আমাকে চাকরির অবসান করে দেয়া পত্রে উল্লেখ করা হয় ‘চুক্তি পত্রের ১০ নং শর্ত অনুসারে’।
গ। ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের চাকরির অবসান করে দেয়া পত্র বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গত ২৫/০৮/২০২৫ ইং তারিখে অকার্যকর করে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থার উল্লিখিত পত্রের কোনো তথ্য সংবাদটিতে তুলে ধরা হয় নাই।
সংবাদের উল্লেখিত তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। ফলে আপনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ তৈরি ও প্রকাণ করে আপনার অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘন করেছেন।
সংবাদটির “ছাত্র হত্যা মামলার আসামি’ শিরোনামে বলা হয়েছে,
“আব্দুল খালেক মিয়া বৈষমারিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরে সংঘটিত হত্যাকান্ডের এক মামলার ৫৪ নং আসামি। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দায়ের করা হত্যাকান্ডের দুটি অভিযোগের একটিতে ২৭ ও আরেকটিতে ৩৮ নং আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন করা হয়েছ্যে
উল্লেখিত মামলার বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা তদন্ত করে মামলার অভিযোগের সাথে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায় নাই। এই বিষয়ে সংবাদের এই অংশে কোনো তথা তুলে না ধরে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একতরফাভাবে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যা সংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী ও মানহানিকর।
সংবাদটির “দেশত্যাগ রোধে পুলিশের বাঁধা” শিরোনাম বলা হয়েছে-
“৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ক্ষমতা হারিয়ে কিছু দিন পালিয়ে বেড়ান খালেক। এরপর আপরিবারে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন ফ্যাসিবাদের এই সহযোগী। কিন্তু হত্যা মামলার আসানী হওয়ায় বিমান বন্দরে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। হজ্জের নামে স্বপরিবারে সৌদি থেকে কানাডা পালানোর চেষ্টা ভেস্তে যায়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত হত্যা মামলার আসামি খালেককের দেশ থেকে পলায়নের শঙ্কায় বিদেশ গমন রোধ চেয়ে চিঠি দেয় পুলিশ। চিঠিতে বলা হয়, ‘আসামি খালেক এখন পলাতক রয়েছেন এবং তিনি যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করে পালাতে পারেন।
সংবাদের উল্লেখিত তথ্য নিখ্যা বানোয়াট। এর কারণ-
আমি হজের উদ্দেশে বিমান বন্দরে যাই। আইন শৃংখলা বাহিনী আমাকে দেশ ত্যাগ না করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করলে আনি ফিরে আসি। কিন্তু আপনি মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদে উল্লেখ করেছেন আমি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। যা মানহানিকর, নিখ্যা ও ভিত্তিহীন।
সংবাদটির “দরবেশ চ্যাপ্টার ক্লোজ শিরোনামে বলা হয়েছে-
“খালেক মিয়া আর বির্তক পাশাপাশি চলছে। সোনার বাংলা কেলেঙ্কারি, ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লুটে মামলা, ছাত্র হত্যার একাধিক মামলা, দেশত্যাগে বাধা ও ইসলামী ইন্স্যুরেন্স থেকে অপসারণ- সব মিলে বীমা খাত থেকে এই সিইওর চ্যাপ্টার ক্লোজ হতে চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খালেক অধ্যায় বীমা খাতের জন্য কলঙ্কের। আপাদমস্তক দুর্নীতিতে লিপ্ত ব্যক্তি বছরের পর বছর ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে লুটপাট করেছেন।
নাম প্রকাশে একাধিক সিইও বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মা-বাবা তুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, এটা লজ্জার এবং ঘৃণার। শত অপরাধ করেও আইডিআরএর দুর্বল তদারকির কারণে এই লোক এতগুলো বছর বীমা খাতে টিকে আছে, এটা বিস্ময়কর! সময় এসেছে তার বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাঁড়ানোর। এমন শাস্তি হওয়া দরকার যাতে কেউ অনিয়মের সঙ্গে জড়াতে শতবার চিন্তা করবে। তারা খালেকনামা তদন্তে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ প্রসঙ্গে আইডিআরএর একাধিক কর্মকর্তা বলেন, খালেকের কর্মকান্ডের ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। অনেক অনিয়ম করেছেন তিনি। প্রভাবশালী কোম্পানীর কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে হয়তো কিছুটা পার পেয়ে গেছেন। এখন তার সকল কুর্কিতী প্রকাশ্যে এসেছে। সোনার বাংলার পর ইসলামী ইন্স্যুরেন্স থেকে বিতাড়িত হওয়ার মধ্যদিয়ে খালেক অধ্যায় শেষ হতে চলছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু আইনগত প্রক্রিয়ার মানতে হবে ইসলামী ইন্স্যুরেন্সকে। হত্যা মামলা কিংবা দেশত্যাগে বাঁধা- এসব আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখবে। আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করছ্যিা
সংবাদের উল্লেখিত তথ্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এর কারণ-
ক। আমি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে ১৯/০৫/২০১৬ থেকে ১২/০৭/২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। উল্লেখিত সময়ে দুই দফায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আমার যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে যথানিয়মে আমাকে নিয়োগ প্রদান করে।
খ। সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড আইন অনুসারে আমাকে ছাড়পত্র প্রদান করে।
গ। সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড আমাকে ছাড়পত্র প্রদান করার ৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর আমার বিরুদ্ধে সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের কতিপয় কর্মকর্তা আমার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে। যার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
ঘ. ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান আমাকে বেআইনিভাবে চাকরির অবসান করে পত্র প্রদান করেন ২০/০৮/২০২৫ ইং তারিখে।
এর চার দিন পর ২৪/০৮/২০২৫ ইং তারিখে আমার জন্য কোম্পানি থেকে বরাদ্দকৃত গাড়ি ফেরত নেয়া হয়। পত্র সূত্র নং- নাই, তারিখ- ২৪/০৮/২০২৫ইং। আমি যথাযথ নিয়মে আমার গাড়ি বুঝিয়ে দেই।
এর পরের দিন আমাকে বাধ্যতামূলকভাবে ছুটি প্রদান করে পত্র প্রদান করা হয় ২৫/০৮/২০২৫ ইং তারিখে। সূত্র নং-আইবিএল/এইচএ/ সিএস/২০২৫-২৫৬৮, তারিখ- ২৫/০৮/২০২৫ ইং। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয় আমার বিরুদ্ধে একট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই দিনই অর্থাৎ ২৫/০৮/২০২৫ ইং তারিখে অপর একটি পত্রে ১১টি অভিযোগ তুলে আমাকে কারণ দর্শানো নোটশ প্রদান করা হয়।
উপরোল্লেখিত পত্রগুলো আইন লঙ্ঘন করে প্রদান করা হয়েছে। এসব পত্র প্রদান পূর্বপরিকল্পিত এটা স্পস্ট। আমাকে পেশাগত ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য সুগভীর ষড়যন্ত্র।
৫। ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকের চাকরির অবসার করে পত্র প্রদান করলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চাকরির অবসার পত্র অকার্যকর করে আমাকে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী পদে বহাল রাখে।
ফলে আমি কোনো আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতি করেছি এমন কোনো তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আমার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। তাই উল্লেখিত প্রতিবাদটি হুবহু আপনার সম্পাদনায় প্রচারিত অর্থবাংলা’য় প্রচার ও প্রকাশের জন্য প্রেরণ করা হলো।
প্রতিবেদকের বক্তব্য-
সিইও মোঃ আব্দুল খালেক মিয়ার বিষয়ে সোনার বাংলা ও ইসলামী ইন্সুরেন্সের দেয়া তথ্য, আইডিআরএর কাগজপত্র এবং মামলার কপিসহ বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এই তথ্যের সকল সত্যতা প্রমাণের দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তায়।
এতে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য বা অভিমত নেই। এখানে কারও দ্বারা প্ররোচিত হওয়া বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবেদন তৈরি বা প্রকাশের অবকাশ নেই। অর্থবাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি প্রাপ্ত তথ্যে উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। সুতরাং, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আইন লংঘনের কোন ঘটনা ঘটেনি।