ঋণ ও গ্যারান্টিতে নতুন নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের

ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টি সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এর মাধ্যমে আগে জারি করা বিচ্ছিন্ন সব নিয়ম একত্রে এনে একটি অভিন্ন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
নতুন এ নির্দেশনার ফলে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের নীতিমালা আরও সহজ ও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ, ওভারড্রাফট এবং গ্যারান্টি সম্পর্কিত বিধান একত্রিত করে একটি সার্কুলারে প্রকাশ করা হয়েছে, যা জারির তারিখ থেকে এক বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
এতে বাণিজ্যিক ঋণ, বিদেশে প্রদত্ত গ্যারান্টি বা জামানতের বিপরীতে ঋণ, দেশীয় ও বিদেশি উভয় পক্ষের জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যারান্টি, রিপেমেন্ট গ্যারান্টি এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ঋণ প্রদানের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে গ্যারান্টি, স্ট্যান্ডবাই লেটার অব ক্রেডিট (এসবিএলসি) এবং অন্যান্য পেমেন্ট প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়ম অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে ইউআরডিজি, ইউসিপি, আইএসপি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে, তবে তা অবশ্যই দেশের আইন ও বিধি-বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
নতুন সার্কুলারে বিশেষায়িত অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ সুবিধা, বৈদেশিক ও স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ গ্রহণের সুযোগ, ইউস্যান্স বিল ডিসকাউন্টিং, চলতি মূলধন সুবিধা এবং মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক ঋণের বিধান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ এবং পরিশোধের গ্যারান্টি সম্পর্কিত নির্দেশনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সব বিধান এক কাঠামোর আওতায় আসায় ঋণ, ওভারড্রাফট ও গ্যারান্টি সংক্রান্ত বৈদেশিক লেনদেন আরও সহজ হবে। বিশেষ করে বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি হবে সহায়ক উদ্যোগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি সরলীকরণ এবং বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে আর্থিক লেনদেন আধুনিকায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।