কর্মীদের এআই ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল গুগল

গুগলে কর্মরত কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

 যারা এআইকে কাজে লাগাতে পারবে না, তারা বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মীদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এআই ব্যবহার এখন আর ঐচ্ছিক নয়। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের ভেতর কেউ কেউ এ পরিবর্তনে আগ্রহী হলেও অনেকেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানতে বাধ্য হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির অন্যান্য বড় প্রতিষ্ঠানও একই পথে হাঁটছে।

গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই সাম্প্রতিক বৈঠকে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বীরা এআই ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে, তাই গুগলকেও সমানতালে এগোতে হবে। নইলে কোম্পানিটি পিছিয়ে পড়তে পারে।’

তিনি জানান, এআই চালুর পর প্রকৌশলীদের সাপ্তাহিক কাজের গতি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে।

অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও একই নির্দেশ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। মাইক্রোসফট কর্মীদের জানিয়েছে, এআই ব্যবহার আর বিকল্প কিছু নয়। অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসিও কর্মীদের সতর্ক করেছেন, এআই এজেন্ট অনেক কাজ সম্পন্ন করায় কর্মী সংখ্যা কমতে পারে।

শপিফাইয়ের প্রধান নির্বাহী টবি লুট বলেছেন, অতিরিক্ত কর্মী চাওয়ার আগে প্রমাণ করতে হবে কাজটি এআই দিয়ে সম্ভব নয়। মেটার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মনে করেন, যারা এআই টুল দক্ষভাবে ব্যবহার করতে পারবেন, তারা বাড়তি সুবিধা পাবেন। গিটহাবের প্রধান নির্বাহীও ডেভেলপারদের সতর্ক করেছেন, এআই ব্যবহার না করলে কর্মজীবন ঝুঁকিতে পড়বে।

গত মাসে ২৪০ কোটি ডলারে এআই স্টার্টআপ উইন্ডসার্ফ অধিগ্রহণ করেছে গুগল। সুন্দর পিচাই জানান, নতুন এ দল গুগলের এআই সক্ষমতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।

প্রতিবেদন আরো বলছে, যদিও কিছু কর্মী এআই ব্যবহার করার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তবে অধিকাংশই বাস্তবতা ও দিকনির্দেশনা মেনে নিচ্ছেন। এক প্রকৌশলী জানান, এগিয়ে যেতে চাইলে এআই ব্যবহার করাই এখন সবচেয়ে সহজ সমাধান।

সম্পর্কিত খবর